আটককৃত আরব শেখরা। ছবি: এনডিটিভি

কিশোরী ‘বিয়ে করতে’ এসে ধরা খেলেন ৮ আরব শেখ

কয়েকটি গেস্টহাইজ ও বাসায় অভিযান চালিয়ে এসব বৃদ্ধদের আটক করা হয়েছে। তাদের ৫ জন ওমানের নাগরিক আর বাকি ৩ জন কাতারের। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে আটক হয়েছেন মুম্বাইয়ের প্রধান কাজীসহ আরও ২ কাজী।

জাহিদুল ইসলাম জন
জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক, নিউজ এন্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৬:০৪ আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০১৮, ০৩:৪৮
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৬:০৪ আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০১৮, ০৩:৪৮


আটককৃত আরব শেখরা। ছবি: এনডিটিভি

(প্রিয়.কম) বয়সের কোঠা কারও কারও ৭০ থেকে ৮০ পেরিয়েছে। লাঠি অথবা অন্যের সহায়তা ছাড়া হাঁটতেও পারেন না। একজন আবার অন্ধও। তবুও তারা বিয়ে করতে এসেছেন। যে সে মেয়ে নয়, বউ হিসেবে তাদের চাই কিশোরী মেয়ে। ভারতের হায়দারাবাদ থেকে আটক হয়েছেন এমন ৮ জন আরব শেখ।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, কয়েকটি গেস্টহাইজ ও বাসায় অভিযান চালিয়ে এসব বৃদ্ধদের আটক করা হয়েছে। তাদের ৫ জন ওমানের নাগরিক আর বাকি ৩ জন কাতারের। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে আটক হয়েছেন মুম্বাইয়ের প্রধান কাজীসহ আরও ২ কাজী।

আটককৃত সবাই ধনী ব্যক্তি। তাদের মধ্যে ওমানের নাগরিকেরা হলেন আল সালেহি তালিব হুমেইদ আলি, আল মায়াহ আলি ইসা, আল সালেহি নাসের খালিফ হামিদ, আল ওবাইদানি জুমা শিনুন সুলাইমান, আল কাশিমি হাসান মাজুল মোহাম্মদ। আর কাতারের নাগরিকেরা হলেন ওমর মোহাম্মদ সিরাজ আবদাল রহমান, হামাদ জাবির আল-কুয়ারি ও সাফেলদিন মোহাম্মাদ সালেহ।

এনডিটিভি'র খবরে বলা হয়, গত মাসে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে বিয়ে করায় কাতার নিয়ে যান ৬১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ। ইউনিয়ন মন্ত্রী মানেকা গান্ধী তাকে উদ্ধার ও ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়ার পর তদন্ত শুরু করে হায়দারাবাদ পুলিশ। সেই সূত্র ধরেই পাওয়া যায় ‘বউ বাজার’ চক্রের সন্ধান। এই চক্রটি মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা আরব শেখদের কিশোরী সরবরাহ করে থাকে।

পুলিশ কমিশনার মাহেন্দার রেডি জানান, ২০ জনেরও বেশি অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীর ‘সাক্ষাৎকার’ নেওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়েছে।

তিনি জানান, কোনো কিশোরীকে শেখরা পছন্দ করলে অভিভাবকরা পায় ১ লাখ রুপি, আর দালালরা ২ থেকে ৩ লাখ রুপি।

ওমানের নাগরিক সুলাইমান বিয়ের জন্য এসেছেন ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে। সাথে এক বন্ধুও রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, কোনো কিশোরীকেই বিয়ে করবেন তিনি।

হায়দারাবাদ পুলিশ কর্তৃপক্ষ বলছে, কিশোরী খুঁজে এনে দেওয়া অন্তত ৩৫ জন দালালকে শনাক্ত করেছেন তারা। তাদের মধ্যে ২ জন নারী। গরিব পরিবারের মেয়েদের খুঁজে টাকার লোভ দেখিয়ে আরব শেখদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তারা।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, বেশিরভাগ সময় এসব আরব শেখ বিয়ের পর কিছুদিন কিশোরীর সঙ্গে থেকে নিজ দেশে ফেরত চলে যান। আবার কিছু ক্ষেত্রে ভিসার ব্যবস্থা করে এসব কিশোরীকে নিয়ে যাওয়া হয় মধ্যপ্রাচ্যে। সেসব মেয়েদের অবস্থা হয় আরও করুণ। তাদের অন্যদের কাছেও নির্যাতনের শিকার হতে হয়।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত   

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...