আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বরগুনা। ছবি: সংগৃহীত

বরগুনায় গৃহবধূর শরীরে সুচ ফুটিয়ে নির্মম নির্যাতন!

ব্যবসা করার কথা বলে শ্বশুরবাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক আদায় করেন হানিফ। আরও দুই লাখ টাকা এনে দিতে রাজি না হওয়ায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর রোববার রিপাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করেন তিনি।

আয়েশা সিদ্দিকা শিরিন
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৯:০৮ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ২৩:১৬
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৯:০৮ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ২৩:১৬


আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বরগুনা। ছবি: সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) বরগুনার আমতলী উপজেলায় এক গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে মারধর ও শরীরে সুচ ফুটিয়ে রাতভর নির্মমভাবে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৫ মে উপজেলার খুড়িয়ার খেয়াঘাট গ্রামের রিপা আকতারের (১৮) সঙ্গে সেকান্দারখালী গ্রামের হানিফ হাওলাদারের (৩৫) বিয়ে হয়। তাদের ঘরে চার মাসের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

সন্তান হওয়ার পর ব্যবসা করার কথা বলে শ্বশুরবাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক আদায় করেন হানিফ। গত ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রিপার বাবার বাড়ি থেকে আরও দুই লাখ টাকা এনে দিতে হানিফ চাপ দেন। এতে রাজি না হওয়ায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর রোববার রিপাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হানিফ। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই হানিফ পলাতক রয়েছেন।

নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রিপার দুই পা ও হাত রশি দিয়ে এবং মুখমণ্ডল ওড়না দিয়ে বেঁধে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝোলান হানিফ। এর পর সুপারিগাছের চেলা দিয়ে তাকে বেদম প্রহার করেন।

প্রায় আধা ঘণ্টা পরে ঘরের আড়া থেকে রিপাকে নামানো হয়। এরপর ঘরের মেঝেতে ফেলে লজ্জাস্থানসহ তার সারা শরীরে সুচ ফুটিয়ে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে মূর্ছা যান রিপা। সংজ্ঞা ফিরে পেলে হানিফ প্লাস দিয়ে রিপার হাত ও পায়ের নখে চাপ দেন।

এভাবে রাতভর নির্যাতন চলে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার প্রতিবেশীদের কাছে খবর পেয়ে রিপাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন তার মা রিনা বেগম। কিন্তু হানিফ রিপাকে আসতে দেননি। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রিপার চাচা আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ও হানিফের মামা মোশাররফ হাওলাদার গিয়ে নির্যাতনের শিকার রিপাকে উদ্ধার করে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক আবদুল মতিন বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার এই গৃহবধূর শরীর ফুলে গেছে। তিনি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। তার চিকিৎসা চলছে।’

আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখে এসেছি। তার চিকিৎসা চলছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সূত্র: প্রথম আলো

প্রিয় সংবাদ/শিরিন/আশরাফ

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...