শরাণার্থী শিবিরগুলোতে মানবেতর জীবনযাপন করছে রোহিঙ্গারা। ছবি: ফোকাস বাংলা

বাংলাদেশ টাকার লোভে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাচ্ছে না: মিয়ানমার

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বারবার পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানালেও মিয়ানমার উল্টো দোষারোপ করেছে। দেশটি এখন বলছে, আর্ন্তজাতিক দাতাগোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে লাখ লাখ ডলার পাওয়ার আশায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় দেরি করছে ঢাকা।

জাহিদুল ইসলাম জন
জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক, নিউজ এন্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:১১ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ০৭:০০
প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:১১ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ০৭:০০


শরাণার্থী শিবিরগুলোতে মানবেতর জীবনযাপন করছে রোহিঙ্গারা। ছবি: ফোকাস বাংলা

(প্রিয়.কম) রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বারবার পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানালেও মিয়ানমার উল্টো দোষারোপ করেছে। দেশটি এখন বলছে, আর্ন্তজাতিক দাতাগোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে লাখ লাখ ডলার পাওয়ার আশায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় দেরি করছে ঢাকা।

গত আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। শরণার্থী শিবিরগুলোতে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হচ্ছে তারা।
   
মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো সরকারের নেতা অং সান সু চির মুখপাত্র জো তাই রয়টার্সকে বলেছেন, মিয়ানমার ১৯৯০ সালের প্রত্যাবাসন চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে যেকোনো সময় প্রস্তুত। এখন বাংলাদেশকে ওই চুক্তি গ্রহণ করতে হবে।

মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা তৈরি, তবে অন্য পক্ষ এটা গ্রহণ না করায় দেরি হচ্ছে। এটি হচ্ছে এক নম্বর সমস্যা।

গত সপ্তাহে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনের মিয়ানমার সফরের সময় সীমান্ত যোগাযোগ পোস্ট স্থাপন নিয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। তবে পুরনো কোনো চুক্তির বিষয়ে অগ্রগতি হয়নি।

এই দেরি করায় বাংলাদেশকে অভিযুক্ত করে জো তাই বলেছেছেন, বিশাল আকারের শরণার্থী শিবির বানিয়ে দেশটি বিদেশি অর্থ সাহায্য পেতে চায়।

‘এরইমধ্যে তারা ৪০০ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে। আরও পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। তাই আমরা ভয়ে রয়েছি এই কারণেই শরণার্থীদের পাঠাতে দেরি করছে তারা,’ গ্লোবাল নিউ লাইটের এক প্রতিবেদনের মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন জো তাই।

গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয় মিয়ানমার আনান কমিশনের সুপারিশ করা দশটি পয়েন্ট বাস্তবায়নে আগ্রহ দেখাচ্ছে। যদিও বাংলাদেশ ওই কমিশনের সবগুলো সুপারিশই বাস্তবায়ন করতে চায়।

নভেম্বরে দুই দেশের যৌথ কমিশন গঠনের কথা থাকলেও এই টানাপোড়েনের মধ্যে তা পিছিয়ে গেছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এসব নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর মিয়ানমার সফর করবেন।

প্রিয় সংবাদ/অশরাফ

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...