এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্স্টি কালজুলাইদ এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে বৈঠক। ছবি: ফোকাস বাংলা

আইসিটি খাতে সহযোগিতায় সম্মত বাংলাদেশ ও এস্তোনিয়া

পররাষ্ট্র সচিব জানান, রানী ম্যাক্সিমা ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। নেদারল্যান্ডের রানী রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

জানিবুল হক হিরা
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:১৮ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৯:১৬
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:১৮ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৯:১৬


এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্স্টি কালজুলাইদ এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে বৈঠক। ছবি: ফোকাস বাংলা

(বাসস) বাংলাদেশ ও এস্তোনিয়ার মধ্যে আইসিটি খাতে সহযোগিতা জোরদারের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদরদপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্স্টি কালজুলাইদ এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

উভয়পক্ষের মধ্যে এই বৈঠক সম্পর্কে ব্রিফিংকালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বলেন, প্রেসিডেন্ট কার্স্টি বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশে ডিজিটাল উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় আইসিটি খাতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাফল্য তুলে ধরেন। উভয় নেতা পরস্পরের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং আইসিটি খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সহযোগিতা জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

সেসময় পররাষ্ট্র সচিব এম. শহিদুল হক এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বৈঠককালে দুই নেতা অন্যান্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়েও আলোচনা করেন।

বিকেলে নেদারল্যান্ডের রানী ও জাতিসংঘের অর্থায়ন বিষয়ক বিশেষ দূত ম্যাক্সিমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

পররাষ্ট্র সচিব জানান, রানী ম্যাক্সিমা ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। নেদারল্যান্ডের রানী রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব আহমেদ ওয়াজেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনার সঙ্গে তার হোটেল কক্ষে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) মহাপরিচালক উইলিয়াম লাকি সুইং দেখা করেন।

এ সময় আইওএম-এর মহাপরিচালক মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য আইওএম এর ত্রাণ তৎপরতার বিষয়ে অবহিত করেন।

উইলিয়াম লাকি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তিনি ৫ ও ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ সফর করবেন। বাংলাদেশে ত্রাণ তৎপরতায় অংশ নেয়া জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর মধ্যে আইওএম শীর্ষে রয়েছে। 

প্রিয় সংবাদ/শান্ত 

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...