পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অজগর অবমুক্ত করেন অতিথিরা। ছবি: প্রিয়.কম

লাউয়াছড়ার পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র রক্ষায় পরিবেশ সচিবের গুরুত্বারোপ

বৃহস্পতিবার বিকেলে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান পরিদর্শন ও বন্যপ্রাণী অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে সচিব এ সব কথা বলেন।

সেলিম আহমেদ
কন্ট্রিবিউটর, মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২০:৩৪ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ২১:৪৮
প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২০:৩৪ আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৮, ২১:৪৮


পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অজগর অবমুক্ত করেন অতিথিরা। ছবি: প্রিয়.কম

(প্রিয়.কম) লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র রক্ষায় গুরুত্বারোপ করেছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালযের সচিব মো. ইশতিয়াক আহমদ। তিনি বলেন, সামাজিক সচেতনার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক সচেতনতা ও বনের বন্যপ্রাণী রক্ষায় গাছ গাছালিকেও রক্ষা করতে হবে।

২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান পরিদর্শন ও বন্যপ্রাণী অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে সচিব এ সব কথা বলেন। 

মো. ইশতিয়াক আহমদ আরও বলেন, সীমিত সংক্ষক বনকর্মী দিয়ে বন রক্ষা করা কঠিন কাজ। এ জন্য বন কর্মীদের সঙ্গে মিলে এলাকাবাসীকে নিয়ে আরও বেশি করে সচেতন হতে হবে। বন দস্যুরা যাতে কোন প্রকার রাজনৈতিক প্রশ্রয় না পায় সে জন্য সামাজিক সচেতনতার সঙ্গে রাজনৈতিক সচেতনতাও প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ডিজিটাল বিজয় অর্জনের একটি অংশ হতে হবে বন ও পরিবেশ রক্ষা।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভিতর দিয়ে চলমান রেলপথ ও সড়ক পথে অনেক বন্য প্রাণি মারা যাওয়া সম্পর্কে বন ও পরিবেশ সচিব বলেন, আপাতত সড়ক পথটির পাঁচ কিলোমিটা এলাকাকে বিকল্প পথে নিয়ে যাবার উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত মোটামোটি হয়ে আছে। এ জন্য বড় ধরনের তহবিল হলেই বিকল্প সড়ক নির্মাণ করা হবে। তবে রেলপথ সরানোর কোন সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।

awareness-environment-and-biodiversity

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন বিভাগ ও বাংলাদেশ বন্য প্রাণি সেবা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে একটি মেছোবাঘ অবমুক্ত করেন অতিথিরা। ছবি: প্রিয়.কম

সচিব বলেন, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান দেশের একটি বড় সম্পদ। এখানে অনকে বিরল প্রাণির সঙ্গে সঙ্গে অনেক বিরল গাছ গাছালিও রয়েছে। কোনোভাবেই যাতে এ জাতীয় উদ্যানের ক্ষতি না হয় সে দিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। প্রয়োজনে বন ও পরিবেশের ক্ষতিকারীদের সম্পর্কে বন বিভাগ ও প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ এস এম মনিরুল ইসলাম, বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজারের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিহির কুমার দো, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, বন্যপ্রানী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান, শ্রীমঙ্গলন্থ মহকুমা সহকারী বন সংরক্ষক রাজেশ চাকমা, বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সীতেশ রঞ্জন দেব।

বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সচিব ও অতিথিরা লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন বিভাগ ও বাংলাদেশ বন্য প্রাণি সেবা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে একটি মেছোবাঘ, দুটি চিতা বিড়ালের শাবক, একটি অজগর সাপ, একটি বিরল প্রজাড়ির ভাইরাল সাপ, একটি শঙ্খচোড়া সাপ, একটি লজ্জাবতী বানর ও একটি গুই সাপ অবমুক্ত করেন। বন্যপ্রণী সেবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সিতেশ রঞ্জন দেব জানান, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোকালয়ে এগুলো ধরা পড়ে। ধরা পড়ার সময় প্রাণিগুলো কিছুটা আহতও হয়। শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পর বৃহম্পতিবার এসব বন্যপ্রাণিগুলোকে অবমুক্ত করা হয়।

প্রিয় সংবাদ/কামরুল

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...