ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক। ছবি: এএফপি

সব রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতেই হবে: ইইউ প্রেসিডেন্ট

এই মন্তব্যের কিছু সময় আগেই ডোনাল্ড টাস্ক ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে একটি বৈঠক করেন। বৈঠক পরবর্তী এক যৌথ ঘোষণায় সংকট সমাধানে বাংলাদেশের সাথে মিয়ামারকে কাজ করতে আহবান জানানো হয়।

আবু আজাদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৭ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:৩০ আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০১৮, ০৮:৩২
প্রকাশিত: ০৭ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:৩০ আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০১৮, ০৮:৩২


ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক। ছবি: এএফপি

(প্রিয়.কম) মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের অবশ্যই ফেরত নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক। মিয়ানমারে যথাযথভাবে মানবাধিকার বজায় রাখতে তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, আগস্ট মাস থেকে সমস্যা কেবল বেড়েই চলছে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়েই এর সমাধান করতে হবে।

এই মন্তব্যের কিছু সময় আগেই ডোনাল্ড টাস্ক ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে একটি বৈঠক করেন। বৈঠক পরবর্তী এক যৌথ ঘোষণায় সংকট সমাধানে বাংলাদেশের সাথে মিয়ামারকে কাজ করতে আহবান জানানো হয়। এ সময় কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন, সংঘাতপূর্ণ এলাকায় ত্রাণকর্মীদের অবাধ প্রবেশের ওপরও গুরুত্ব প্রদান করেন ইইউ প্রেসিডেন্ট।

প্রাণ বাঁচাতে এভাবে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে রোহিঙ্গারা। ছবি: ফোকাস বাংলা

নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা। ফাইল ছবি   

গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিধন অভিযান শুরুর পর থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। তবে বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা সাড়ে ৬ লাখেরও বেশি; যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। 

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জোয়েল মিলম্যান বলেন, প্রতিদিন দুই হাজার করে রোহিঙ্গা এখনও বাংলাদেশে আসছেন। তারপরও আরও অন্তত এক লাখ মানুষ বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছেন। 

বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের অপেক্ষায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা। ছবি: ফোকাস বাংলা

বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের অপেক্ষায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা। ছবি: ফোকাস বাংলা

এদিকে জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ দফতরের প্রধান মার্ক লোকক জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘মিয়ানমার থেকে আবারও বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল নামবে বলে আশঙ্কা করছি। অভিযান বন্ধ না হওয়ায় রোহিঙ্গাদের আসা এখনও বন্ধ হয়নি। সহিংসতার পরও মিয়ানমারের রাখাইনে হাজার হাজার রোহিঙ্গা এখনও রয়ে গেছেন। আর সেকারণে শরণার্থীদের ঢল যদি আবারও নামে, তার জন্যে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’

এখনো সহিংসতা থামেনি রাখাইনে। ছবি: এএফপিএখনও সহিংসতা থামেনি রাখাইনে। ছবি: এএফপি

মানবাধিকার সংস্থাগুলোর হিসেব মতে, রাখাইনের উত্তরাঞ্চলের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ২১৬ গ্রামে গণহত্যা ও জ্বালিয়ে জনমানবশূণ্য করে ফেলেছে দেশটির সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা। মূলত মুসলিমদের তাড়াতেই তারা এমনটি করছে। 

এদিকে গত সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী বলেন, সেনাবাহিনীর গণহত্যার শিকার হয়েছে ৩ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা। ওই একই সময়ে বেসকারি হিসেবে ওই সংখ্যা অনেক আগেই ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে রাখাইনে সাংবাদিক ও আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের পরিদর্শনের অনুমতি না থাকায় সেখানকার সঠিক তথ্য মিলছে না। 

সারা বিশ্বে ইউএনএইচসিআর কর্তৃক নিবন্ধিত ১৭.২ মিলিয়ন শরণার্থীর ৩০ শতাংশ এখন বাংলাদেশে। চলমান রোহিঙ্গা ঢল অব্যাহত থাকলে শরণার্থীর এ সংখ্যা ১০ লাখে পৌঁছাতে পারে বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

প্রিয় সংবাদ/শান্ত 

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...