গড্ডিমারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: প্রিয়.কম

‘সব বই বন্যার পানিতে ভেসে গেছে, খাতা-কলম নিয়ে স্কুলে যাই’

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থীর বই বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।

আসাদুজ্জামান সাজু
কন্ট্রিবিউটর, লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০১৭, ১২:২২ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৪:৪৮
প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০১৭, ১২:২২ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৪:৪৮


গড্ডিমারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: প্রিয়.কম

(প্রিয়.কম) ‘সকালে প্রাইভেট থেকে এসে দেখি, আমার সব বই বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এখন শুধু খাতা আর কলম নিয়ে স্কুলে যাচ্ছি। যে টুকু সময় পাই, বান্ধবীদের বই নিয়ে স্কুলেই একটু পড়ি। কয়েক দিন পর পরীক্ষা শুরু হবে।’ কথাগুলো লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ছবুরা খাতুনের।

এ অবস্থা শুধু ছবুরা খাতুনের নয়, তার মতো ওই বিদ্যালয়ের অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থীর বই বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ওই বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী আফরোজা খাতুন জানান, ১৩ আগষ্ট সকাল সাড়ে ৭টায় হাতীবান্ধা উপজেলার তালেব মোড় এলাকায় আমরা পাঁচ ছয় জন বন্ধু এক সঙ্গে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে ছিলাম। সকাল ৯টায় বাড়ি এসে দেখি, ঘরের সব বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। আমরা বই-খাতা কিছুই রক্ষা করতে পারি নাই।

৫ম শ্রেণির অপর ছাত্র মতিয়ার রহমান জানান, বন্যার পানিতে আমাদের বই ভেসে গেছে ফলে আমরা পড়াশুনা করতে পারছি না। কয়েক দিন পর পরীক্ষা শুরু হবে। পড়াশুনা করতে না পারলে পরীক্ষায় লেখবো কি? হাতীবান্ধা উপজেলার চর গড্ডিমারী গ্রামের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী সুফিয়া আক্তার বলেন, সন্ধ্যায় বাড়িতে তিস্তার পানি উঠায় পাশে নানার বাড়িতে বাবা আমাকে রেখে আসে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি সব বই পানিতে ভেসে গেছে। আমি এখন কি পড়ব? আপারা কি আমাকে আবার বই দিবে?

গড্ডিমারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রোকসান আক্তার বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ের বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীর বই বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ফলে তাদের লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। এখনো তালিকা তৈরী করা হয়নি, তালিকা তৈরী করে তাদের বইয়ের ব্যবস্থা করা হবে।’

লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকার জানান, বন্যায় পানিতে যে সব শিক্ষার্থীর বই ভেসে গেছে তাদের তালিকা তৈরী করে সরকারী গুদাম থেকে বই সরবরাহ করতে চেষ্টা করছি।

প্রিয় সংবাদ/শিরিন/আশরাফ

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...