লালমনিরহাটে বন্যায় ভেঙ্গে পড়া সেতু। ছবি: প্রিয়.কম।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতু-সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেই, চরমে জনদুর্ভোগ!

চলতি বছরের দু’দফা বন্যায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানির তোড়ে এ উপজেলার ছোট বড় মিলিয়ে ১২টি কালভার্ট ও ৩টি ব্রীজের ক্ষতি হয়েছে।

আসাদুজ্জামান সাজু
কন্ট্রিবিউটর, লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ০৯ অক্টোবর ২০১৭, ১১:৫৫ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৯:০০
প্রকাশিত: ০৯ অক্টোবর ২০১৭, ১১:৫৫ আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৯:০০


লালমনিরহাটে বন্যায় ভেঙ্গে পড়া সেতু। ছবি: প্রিয়.কম।

(প্রিয়.কম) লালমনিরহাটে চলতি বছরের দু’দফা বন্যায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) আওতাধীন ৫৩টি সেতু ও কালভার্ট ভেঙ্গে গেছে। ১শ’ ৮৪ কিলোমিটার সড়কপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব সেতু, কালভার্ট ও সড়ক সংস্কারে কোন উদ্যোগ না থাকায় স্থানীয় জনসাধারণ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

জেলায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে হাতীবান্ধা উপজেলায়। হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকৌশলী অজয় কুমার সরকার বলেন, ‘এবারেই বন্যার পানির তোড়ে এ উপজেলার ছোট বড় ১২টি কালভার্ট ও ৩টি ব্রীজের ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এর পরিমাণ আরও বেশি রয়েছে। এদের মধ্যে রেললাইন ভেঙ্গে টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি ব্রীজ ও কালভার্ট ভেঙ্গে গেছে।’

এ সব ব্রীজ কালভার্ট সংস্কারে এখন পর্যন্ত নেই কোন উদ্যোগ। যার ফলে ওই সব এলাকায় বেড়েছে লোকজনের চলাচলে জনদুর্ভোগ। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সকল পেশার লোকজন ব্রীজের অভাবে পায়ে হেঁটে দুর দুরান্ত পথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যস্থলে চলাচল করছেন। প্রবীণদের মতে, এবারেই স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে লালমনিরহাটে।

দুই দফার বন্যায় ভেঙ্গে গেছে ঘরবাড়ী, স্কুল কলেজ, রাস্তাঘাট, সেতু-কালভার্টসহ অনেক স্থাপনা। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা গ্রামের আমজাদ হোসেন জানান, এবারের বন্যায় তার বাড়ির কাছে রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় চলাচলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

টংভাঙ্গার ৫নং ওয়াডের সাবেক ইউপি সদস্য আ. জলিল বলেন, ‘টংভাঙ্গা ইউনিয়নের সাতহাত কালী থেকে বাড়াইপাড়া হয়ে হাতীবান্ধা শহরে প্রবেশের সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। কিন্তু এবারের বন্যায় ওই সড়কের শ্মসান সংলগ্ন ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এ এলাকার লোকজনের চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়। ব্রীজটি মেরামত প্রয়োজন।’

লালমনিরহাট জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী জাকিউর রহমান বলেন, ‘এবারের বন্যায় ক্ষয়-ক্ষতির তালিকা নিরুপণ করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে। এখনো বরাদ্দ আসেনি। বরাদ্দ পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ দিকে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন।

প্রিয় সংবাদ/শিরিন

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...