নৌকাযোগে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছেন রোহিঙ্গারা। ফাইল ছবি

সাগরে ডুবে মরা থেকে যেভাবে প্রাণে বাঁচলেন ৩৫ রোহিঙ্গা 

দ্বীপের পশ্চিম পাড়ায় রোহিঙ্গা বোঝাই একচি নৌকা ডুবে যাচ্ছে, ফজরের আজানের আগে স্থানীয়দের কাছে এমন খবর আসে। খবরটি পাবার পরপরই স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।

আবু আজাদ
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০১৭, ১১:৪৫ আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ২২:০০
প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০১৭, ১১:৪৫ আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ২২:০০


নৌকাযোগে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছেন রোহিঙ্গারা। ফাইল ছবি

(প্রিয়.কম) কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ এলাকার নাফ নদীতে ভয়ংকর নৌকা ডুবি থেকে প্রাণে বেঁচে গেছেন ৩৫ রোহিঙ্গা শরনার্থী। ২৫ অক্টোবর বুধবার ভোর চারটার দিকে শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম পাড়া এলাকায় ডুবতে থাকা একটি নৌকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

হুমায়ুন রশীদ নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, দ্বীপের পশ্চিম পাড়ায় রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা ডুবে যাচ্ছে, ফজরের আজানের আগে স্থানীয়দের কাছে এমন খবর আসে। খবরটি পাবার পরপরই স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং ডুবন্ত নৌকা থেকে ৩৫ রোহিঙ্গা শরনার্থীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এতে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পায় নারী-শিশুসহ বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা। 

মিয়ানমারে সেনা নির্যাতনের মুখে প্রাণ বাঁচাতে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসছে রোহিঙ্গারা। ফাইল ছবি

মিয়ানমারে সেনা নির্যাতনের মুখে প্রাণ বাঁচাতে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসছে রোহিঙ্গারা। ফাইল ছবি

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন খান জানান, রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাটি ডুবো চরে আটকা পড়ে ডুবে যাচ্ছিল এমন খবরে স্থানীয় জনতা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩৫ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে উদ্ধার করে উপকূলে নিয়ে আসে। প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকৃতদের স্থানীয় ‘দাংগরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’ রাখা হয়েছে। রোহিঙ্গারা জানিয়েছে আরো কয়েকটি নৌকা বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে আসছে।

এর আগে সর্বশেষ গত ১৫ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টার দিকে মিয়ানমারের মংডু থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় ডুবে যায়। ঘটনায় নারী-শিশুসহ ২১ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা গেলেও বাকীরা নিখোঁজ রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে নিখোঁজ সবাই সমুদ্রে ডুবে মারা গেছেন। ওই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া রোহিঙ্গারা জানান, ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে ৬০-৭০ জন রোহিঙ্গা ছিল। 

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা নিধন অভিযান শুরু হবার পর প্রাণ বাঁচাতে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা সমুদ্র ও দুর্গম পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। এরমধ্যে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ আসার চেষ্টায় নৌকা ডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৮৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে যাদের ১৮৪ জন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক ও অপর একজন বাংলাদেশি নৌকার মাঝি।

প্রিয় সংবাদ/শিরিন

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...