চট্টগ্রামে ‘অদম্য বাংলাদেশ’ গ্রন্থের মোডক উন্মোচন অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেনের ‘অদম্য বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচিত

অনুষ্ঠানে ‘অদম্য বাংলাদেশ’ গ্রন্থের লেখক  ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বিশ্বের সম্পদ। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমরা তাকে ধারণ করতে পারিনি। তবে আমরা শেখ হাসিনাকে পেয়েছি। বাঙালি পরিশ্রমী, মেধাবী।’

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২০, ১৪:১৬ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২০, ১৫:০১
প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২০, ১৪:১৬ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২০, ১৫:০১


চট্টগ্রামে ‘অদম্য বাংলাদেশ’ গ্রন্থের মোডক উন্মোচন অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে তথ্য প্রযুক্তিবিদ ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেনের নিবন্ধ সংকলন ‘অদম্য বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।

১৬ অক্টোবর চট্টগ্রামের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন কেন্দ্রে আয়োজিত বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন প্রধান অতিথি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। নেটওয়ার্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল ল স্টুডেন্টস বাংলাদেশ চ্যাপ্টার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।  

অনুষ্ঠানে ‘অদম্য বাংলাদেশ’ বইয়ের লেখক  ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বিশ্বের সম্পদ। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমরা তাকে ধারণ করতে পারিনি। তবে আমরা শেখ হাসিনাকে পেয়েছি। বাঙালি পরিশ্রমী, মেধাবী। কিন্তু সেই মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। যুগোপযোগী গবেষণার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের ডিন এবিএম আবু নোমান বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে সেটি এখন চোখে দেখা যাচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি বড় উদাহরণ। সবাই মিলে কাজ করলে দেশ ২০৪১ সালের আগে উন্নত দেশে পরিণত হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার বলেন, স্বাধীনতার পর মাত্র অল্প কয়েক বছর বঙ্গবন্ধু দেশকে পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ঘাতকরা তাকে পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। এরপর তার কন্যা শেখ হাসিনা পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করছেন।

তিনি বলেন, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে প্রায়ই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডে শিশুরা হত্যার শিকার হন। অথচ তারা নিষ্পাপ। শেখ রাসেলও ১৯৭৫-এর হত্যাকাণ্ডে নির্মমতার শিকার হয়েছে। এটি বন্ধ করতে হবে।  

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সরোজ কান্তি সিংহ হাজারী, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফ ইমাম আলী, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশ চা বোর্ডের সদস্য যুগ্ম সচিব ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক প্রদীপ চক্রবর্তী।

উল্লেখ্য, এর আগে বইটির আরেকটি মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান হয়েছিল, যেখানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলামসহ অনেকে। 

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...