দুই পক্ষের সংঘর্ষ। ছবি সংগৃহীত

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে নিহত ৪

পরিস্থিতি জানাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি মুকুল রায়। তিনি এ সংঘর্ষের ঘটনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন।

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৯ জুন ২০১৯, ০৯:৫৭ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৯, ০৯:৫৭
প্রকাশিত: ০৯ জুন ২০১৯, ০৯:৫৭ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৯, ০৯:৫৭


দুই পক্ষের সংঘর্ষ। ছবি সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এতে আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

৮ জুন, শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলার সন্দেশখালি এলাকার ন্যাজাটে দলীয় পতাকা খোলাকে কেন্দ্র করে দু‘পক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা এনডিটিভির বরাতে জানিয়েছে, সংঘর্ষের শুরুতে কায়েম মোল্লা (২৬) নামের এক তৃণমূল কর্মী নিহত হয়। পরে নিহত কায়েম নিজেদের দলের সমর্থক বলে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও রাজ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

এদিকে একই সংঘর্ষে সময় তৃণমূল কর্মীদের গুলিতে তাদের দলের পাঁচ কর্মী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। বাকি দু’জনের মৃতদেহ পুলিশ সরিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

সায়ন্তন বসু দাবি করেন, নিহত বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সুজিত মণ্ডল, তপন মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডলের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তাদের চার কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাদের মধ্যে শঙ্কর মণ্ডল ও দেবদাস মণ্ডল নামে দু’জন নিহত হয়েছেন বলেও খবর পেয়েছেন, জানান তিনি।

নিহতের সংখ্যা কম দেখাতে পুলিশ ওই দু’জনের ‘মৃতদেহ গুম করার চেষ্টা করছে’ বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।

অন্যদিকে তৃণমূল নেতা মল্লিক জানিয়েছেন, তাদের কর্মী কায়েম মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। তিনি আনন্দবাজারকে বলেন, ‘বিজেপির হার্মাদরা তাকে (কায়েম) মেরেছে। মাথায় গুলি করেছে। বিজেপি যদি মারার রাজনীতি শুরু করে আমরাও ছাড়বো না।’

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় সন্দেশখালিতে তৃণমূলের বুথ কমিটির বৈঠক হচ্ছিল। যে পার্টি অফিসে এ বৈঠক হচ্ছিল সেখানে বিজেপির দলীয় পতাকা লাগানো ছিল। তৃণমূল কর্মীরা বিজেপির পতাকা খুলে তৃণমূলের পতাকা লাগানোর চেষ্টা করলে বিজেপি কর্মীরা বাধা দেয়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে একটি গুলি এসে কায়েমের গায়ে লাগে। এরপর দুপক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার পাশাপশি উভয় দলের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।

এদিকে পরিস্থিতি জানাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি মুকুল রায়। তিনি এ সংঘর্ষের ঘটনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন।

উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত হওয়া ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। রাজ্যর ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টিতে বিজয়ী হয়েছে বিজেপি, অপরদিকে তৃণমূল পেয়েছে ২২টি আসন। এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচনে রাজ্যের লোকসভা আসনগুলোর মধ্যে ৩৪টিতে জয় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস, আর বিজেপি পেয়েছিল মাত্র দুইটি আসন।

প্রিয় সংবাদ/রুহুল

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...