পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক রৌশন আরা বেগম। ফাইল ছবি

পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক রৌশন আরার মরদেহ ঢাকায়

বিমানবন্দরে রৌশন আরার মরদেহ গ্রহণ করেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৯ মে ২০১৯, ১০:১০ আপডেট: ০৯ মে ২০১৯, ১০:১০
প্রকাশিত: ০৯ মে ২০১৯, ১০:১০ আপডেট: ০৯ মে ২০১৯, ১০:১০


পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক রৌশন আরা বেগম। ফাইল ছবি

(প্রিয়.কম) কঙ্গোতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল আইজিপি) রৌশন আরা বেগমের মরদেহ ঢাকায় আনা হয়েছে।

৯ মে, বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৪১ মিনিটে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তার মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

বিমানবন্দরে রৌশন আরার মরদেহ গ্রহণ করেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাংলাদেশ পুলিশের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে নিহতের মরদেহ নেওয়া হয় রাজধানীর হাতিরঝিল মহানগর প্রজেক্ট আবাসিক এলাকায় মরহুমার নিজ বাসায়।

নিহতের প্রথম জানাজা নয়াটোলা জামে মসজিদে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। দ্বিতীয় জানাজা সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে মগবাজারে মরহুমার পৈতৃক বাড়ির মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে। সেখানে বাদ জোহর তৃতীয় জানাজা শেষে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।

কঙ্গোয় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের মেডেল প্যারেডে অংশ নিতে গিয়েছিলেন রৌশন আরা বেগম।

গত ৫ মে, রবিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কঙ্গোর কিনসা এলাকায় একটি লরির সঙ্গে রৌশন আরাকে বহনকারীর গাড়ির ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে রৌশন আরা বেগম নিহত ও তাকে বহনকারী গাড়ির চালকসহ বাকি দুইজন আহত হন। আহতদের মধ্যে পুলিশের এসপি (কমান্ডার) ফারজানাও রয়েছেন।

গত ৩ মে রৌশন আরা বেগম মিশনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। কঙ্গোতে পৌঁছেন ৪ মে। আর ৫ মে অর্থাৎ সেখানে পৌঁছানোর পরদিনই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।

রাজধানী ঢাকার মগবাজারের সাবেক টিএন্ডটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ভিকারুননিসা-নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন রৌশন আরা। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস (অনার্স), এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন।

বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৮৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ক্যাডারে যোগদান করেন রৌশন আরা বেগম। মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে তিনি ঢাকায় শিক্ষানবিস সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমি, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) সহকারী পুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৪ সালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে কক্সবাজারে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর একই পদে টাঙ্গাইল, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন।

রৌশন আরা ১৯৯৮ সালের ৩ ডিসেম্বর প্রথম নারী পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে মুন্সীগঞ্জে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর তিনি অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি পান।

তিনি দেশের বাইরে যুক্তরাজ্যের পুলিশ স্টাফ কলেজ, ব্রামশিল থেকে স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং কোর্স এবং লিডারশিপ কোর্স ফর ফিমেললিডার’স ইন ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি কোর্সে অংশগ্রহণ করেন।

পুলিশ বাহিনীতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দুইবার আইজিপি ব্যাচপ্রাপ্ত হন এবং বাংলাদেশ সরকারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুলিশ পদক ‘পিপিএম’ লাভ করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার থাকাকালীন ‘অনন্যা শীর্ষ দশ-১৯৯৮’ পুরস্কার ও ২০১২ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব উইমেন পুলিশের স্কলারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০১২ লাভ করেন।

প্রিয় সংবাদ/আশরাফ/রুহুল

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...