বিস্ফোরণের পর শ্রীলঙ্কার একটি গির্জা। ছবি: সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০৭

প্রাথমিকভাবে আটজনের চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। অল্প সময়ের মধ্যেই রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসপাতালে প্রায় ৩০০ জনকে ভর্তি করতে হয়।

আশরাফ ইসলাম
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৪৭ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:৫৫
প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৪৭ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:৫৫


বিস্ফোরণের পর শ্রীলঙ্কার একটি গির্জা। ছবি: সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে ইস্টার সানডের দিন তিনটি গির্জা ও তিনটি বিলাসবহুল হোটেলে বোমা বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৭ জনে। আহত হয়েছেন অন্তত ৪০০ জন। দেশটির হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্র বলছে, দেশটিতে ১০ বছর আগে বন্ধ হওয়া গৃহযুদ্ধের পর এটাই সবচেয়ে বড় হামলা। খবর রয়টার্স, এএফপি, এনডিটিভি।

২১ এপ্রিল, রবিবার স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৯টায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ৩৫ জন বিদেশি রয়েছেন। 

স্থানীয় পুলিশ রয়াটার্সকে জানিয়েছে, কেবল দক্ষিণ কলম্বোর কাতুয়াপিটিয়ার সেইন্ট সেবাস্টিয়ানের গির্জায়ই ৫০ জনের বেশি লোক নিহত হয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম বলছে, পূর্বাঞ্চলীয় বাট্টিকালোয়া গির্জার হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। অন্য হামলাটি হয়েছে কলম্বোর কোচচিকাদে এলাকার সেইন্ট অ্যান্থনির গির্জায়।

এ ছাড়া তিনটি বিলাসবহুল হোটেলে হামলা হয়েছে। তবে হোটেলগুলোতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না তা এখনো জানা যায়নি। হোটেলগুলো হলো- রাজধানীর সাংগ্রি লা, দ্য কিন্নামোন ও কিংসবারি। তিনটি হোটেলই কলম্বোর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত।

এখন পর্যন্ত এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। যদিও দেশটিতে ২০০৯ পর্যন্ত কয়েক দশক ধরে তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদিরা যুদ্ধ করছিল। ওই সময়ে রাজধানী কলম্বোতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা খুব স্বাভাবিক ছিল।

প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমাসিংহে তার বাড়িতে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠক ডেকেছেন। তিনি এই কাপুরুষোচিত এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। 

তিনি টুইটারে এক পোস্টে বলেছেন, আজকে আমাদের জনগণের ওপর এই কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এই দুঃসময়ে আমি সব শ্রীলঙ্কানদের ঐক্যবদ্ধ ও শক্ত থাকার আহ্বান জানাই।  

এ ছাড়া তিনি যাচাই না করে কোনো গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার অবিলম্বে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

কলম্বোর একটি সরকারি হাসপাতালের এক কর্মী জনান, প্রাথমিকভাবে আটজনের চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। অল্প সময়ের মধ্যেই রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসপাতালে প্রায় ৩০০ জনকে ভর্তি করতে হয়।

যে তিনটি গির্জায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেগুলো কলম্বোর কোচকিকাদে, কাতুয়াপিটিয়া ও বাট্টিকালোয়া নামক স্থানে অবস্থিত। এসব গির্জায় ইস্টার সানডে উপলক্ষে অনুষ্ঠান চলছিল।

প্রিয় সংবাদ/আশরাফ/রুহুল

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...