ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে (আইবিএস) ভোগেন ১০-২০ শতাংশ মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

পেট খারাপ নাকি মানসিক সমস্যা?

যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় দেখা গেছে, পেটের সমস্যা আইবিএসের পেছনে মানসিক কারণই দায়ী হতে পারে।

কে এন দেয়া
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:৪৫ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:৪৫
প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:৪৫ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:৪৫


ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে (আইবিএস) ভোগেন ১০-২০ শতাংশ মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) পৃথিবীর প্রায় ১০-২০ শতাংশ মানুষ এক ধরনের পেটের সমস্যায় ভোগেন, যাকে বলা হয় আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম। এ সমস্যায় আক্রান্ত হলে হঠাৎ পেটে ব্যথা, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়ারিয়া, ক্লান্তি, বমি বা মল-মূত্র নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়। এ কারণে একজন মানুষের দৈনিক জীবনযাপনে সমস্যা দেখা দিতে পারে। একে বলা হয় একটি ‘ফাংশনাল ডিজঅর্ডার’ অর্থাৎ এর কারণ জানা নেই কারো। বরং এর উপসর্গ দেখেই শনাক্ত করা হয়।  

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় দেখা গেছে, পেটের এই সমস্যাটির পেছনে মানসিক কারণই দায়ী হতে পারে।

বর্তমানে আইবিএস চিকিৎসায় ব্যায়াম ও মেডিটেশন, প্রোবায়োটিক খাওয়া বা কিছু খাদ্য ও পানীয় বাদ দেওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়ারিয়া কমানোর কিছু ওষুধ দেওয়া হতে পারে।  কিন্তু এই গবেষণায় বলা হয়, একে মানসিক সমস্যা ধরে নিয়ে রোগীকে থেরাপি দেওয়া হলে তা এসব উপায়ের চেয়ে বেশি কার্যকরী হয়।

এই গবেষণায় আইবিএস আছে এমন ৫৫৮ জন মানুষকে নেওয়া হয়। তাদের কেউ কেউ আইবিএসের জন্য প্রচলিত চিকিৎসা নিতে থাকেন, বাকিদেরকে আটটি থেরাপি দেওয়া হয়। এক বছর পর দেখা যায়, যারা থেরাপি নিয়েছিলেন তাদের আইবিএসের মাত্রা কমে এসেছে। রোগীরা দাবি করেন, এই থেরাপিগুলো নেওয়ার পর তারা অনেক স্বস্তি বোধ করছেন। এমনকি টেলিফোনে বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে থেরাপি দেওয়া হলেও তা কার্যকরী হয়। আইবিএস নিরাময়ে এই থেরাপি শীঘ্রই আসতে পারে জনসাধারণের জন্য।

সূত্র: আইএফএলসায়েন্স

প্রিয় লাইফ/আশরাফ

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...