ফেসবুকের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: সংগৃহীত

জাকারবার্গকে নিয়ে আপত্তি বিনিয়োগকারীদের

বিশ্লেষকদের মতে, ফেসবুকের বিরুদ্ধে নতুন এ সমালোচনার কারণে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি জাকারবার্গের চেয়ারম্যান পদের ওপরও ঝড় আসবে।

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ১৪:১০ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ১৪:১০
প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ১৪:১০ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ১৪:১০


ফেসবুকের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) ফেসবুকের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গকে পদ ছেড়ে দিতে বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন বিনিয়োগকারী।

রিপাবলিকান দলের সঙ্গে সম্পর্ক আছে, এমন একটি জনসংযোগ (পিআর) প্রতিষ্ঠানকে ফেসবুক তাদের সমালোচকদের দুর্নাম করার দায়িত্ব দিয়েছে বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসে সম্প্রতি একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদটি প্রকাশের পরই জাকারবার্গকে ফেসবুকের চেয়ারম্যান পদটি ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

ফেসবুকের ৮৫ লাখ শেয়ারের মালিক যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ট্রিলিয়াম অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জোনাস ক্রন জাকারবার্গের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ফেসবুক একক ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল একটি প্রতিষ্ঠানের মতো আচরণ করছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি আসলে তা নয়। এটা একটা কোম্পানি। চেয়ারম্যান ও সিইওর পদ আলাদা থাকাটা কোম্পানির জন্যই প্রয়োজন।’

বিশ্লেষকদের মতে, ফেসবুকের বিরুদ্ধে নতুন এ সমালোচনার কারণে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি জাকারবার্গের চেয়ারম্যান পদের ওপরও ঝড় আসবে। একই সঙ্গে ফেসবুকের সদ্য নিযুক্ত ‘গ্লোবাল হেড অব পলিসি’ স্যার নিক ক্লেগের জন্যও এটি একটি বড় ধাক্কা।

ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কাণ্ডের পর ফেসবুকের বিশ্বাসযোগ্যতা বড় হুমকির ‍মুখে পড়ে। এরপরও কয়েক দফা গ্রাহকের তথ্য বেহাত নিয়ে ফেসবুকের বিশ্বাসযোগ্যতা তলানিতে গিয়ে ঠেকে।

ফেসবুক যখন তাদের হারানো বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরে পেতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলছে, তখনই এ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হলো।

নিউইয়র্ক টাইমসে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর মার্ক জাকারবার্গ জানিয়েছেন, এটি দেখার পর দ্রুততার সঙ্গে তিনি আলোচনা করেছেন এবং ওই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ফেসবুকের সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন।

এই প্রতিষ্ঠানের নাম অাগে জানতেন না বলেও দাবি করেন জাকারবার্গ। একই দাবি করেছেন ফেসবুকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) শেরিল স্যান্ডবার্গও।

প্রিয় প্রযুক্তি/মিজান/আজহার

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...