প্রতীকী ছবি

মানসিকভাবে ভঙ্গুর প্রজন্ম তৈরি করছে স্মার্টফোন: গবেষণা

ওই মনোবিজ্ঞানী বলেন, ১৯৯৫ সাল এবং এরপরে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম আইজেন প্রজন্ম। এই প্রজন্ম তাদের কিশোর বয়সের অধিকাংশ সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করে কাটায়।

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ২০:৩৬ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ২০:৩৭
প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ২০:৩৬ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ২০:৩৭


প্রতীকী ছবি

(বাসস) বর্তমানে মানুষের জীবনের স্মার্টফোন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু নতুন প্রজন্মের ওপর এর প্রভাব খুব একটা ইতিবাচক নয়। স্মার্টফোন ব্যবহার করা বর্তমান প্রজন্ম মানসিকভাবে ভঙ্গুর হয়ে যাচ্ছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

সান ডিয়াগো স্টেট ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জ্যাঁ টুয়েঞ্জ মনে করেন, স্মার্টফোন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অসুখী, অসন্তুষ্ট এক ‘আইজেনারেশন’ তৈরি করছে। খবর এএফপির।

আইজেনারেশন, সংক্ষেপে তিনি তাদের আইজেন বলছেন। তারা কারা এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই মনোবিজ্ঞানী বলেন, ১৯৯৫ সাল এবং এরপরে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম আইজেন প্রজন্ম। এই প্রজন্ম তাদের কিশোর বয়সের অধিকাংশ সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করে কাটায়। তারা প্রচুর সময় অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যয় করে। এসব মাধ্যমে নানা ধরনের গেম খেলেও তারা অনেক সময় পার করে থাকে। কিন্তু স্ক্রিনের বাইরে বই পড়া, ঘুমানো বা বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করার কাজে অনেক কম সময় ব্যয় করে এই প্রজন্ম।

তিনি বলেন, ‘এসব শিশুর বিকাশের গতি খুবই মন্থর। ১৮ বছর বয়সেও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া, চাকরি করা, মদ্যপান বা অভিভাবক ছাড়া বাইরে বের হওয়ার মতো যথেষ্ট যোগ্য তাদের মনে হয় না। এসব ক্ষেত্রে আগের জেনারেশনের কিশোর-কিশোরীদের তুলনায় তাদের কম যোগ্য মনে হয়।’

এসব কিশোর-কিশোরীর আচরণ ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে এ মনোবিজ্ঞানী তার গবেষণায় বলেন, ‘২০১১ ও ২০১২ সালের দিকে কিশোর বয়সের শিশুদের মধ্যে খুব দ্রুত আমি একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করি। তাদের মধ্যে নিঃসঙ্গতাবোধ ক্রমেই বাড়তে দেখি। তারা কোনো কিছু সঠিকভাবে করতে পারে না। তারা ভাবছে, তাদের জীবনটা অর্থহীন। আর এসবই হতাশার মূল লক্ষণ।’

এসব ক্ষেত্রে ওই অধ্যাপকের পরামর্শ, ‘সুখ ও মানসিক স্বাস্থ্য আমাদের চিন্তা-চেতনার ওপর নির্ভর করে। আর এ বিষয়গুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জন্মগতভাবে শরীরে আমরা যে জিন বহন করছি, তা পাল্টানো সম্ভব নয়, যেমন রাতারাতি দারিদ্র্য দূর করার কোনো সমাধান নেই। কিন্তু আমরা আমাদের অবসর সময় কীভাবে ব্যয় করব, সেটা ইচ্ছা করলেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এ কাজে আমরা আমাদের শিশুদের সহায়তা করতে পারি।’

এ গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা দিনে প্রায় দুই ঘণ্টা বা এর কম সময় ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারে। এতে সামাজিক মাধ্যমের সব সুবিধা যেমন আমরা পাব, তেমনি এর ক্ষতি থেকেও রক্ষা পাব।’

প্রিয় প্রযুক্তি/নোমান/শান্ত 

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...