ভারতের সংগীত পরিচালক অানু মালিক। ছবি: সংগৃহীত

‘#মি টু’ আন্দোলন: আনু মালিকের বিরুদ্ধে আরও দুই নারীর অভিযোগ

স্টুডিওর মধ্যে একা পেয়ে তাকে চেপে ধরেছিলেন আনু মালিক।

প্রিয় ডেস্ক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৩১ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৩১
প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৩১ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৩১


ভারতের সংগীত পরিচালক অানু মালিক। ছবি: সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) আবারও যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠল ভারতের সঙ্গীত পরিচালক অানু মালিকের বিরুদ্ধে। সংগীতশিল্পী শ্বেতা পণ্ডিতের পর এবার আনু মালিকের বিরুদ্ধে ‘#মি টু’ অভিযোগ আনলেন আরও দুই নারী।

প্রথম ঘটনা নব্বইয়ের দশকের। ঘটনাটি ঘটেছিল মেহবুব স্টুডিওতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী ‘মিডডে’ পত্রিকায় আনু মালিকের বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ এনেছেন। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানানো হয়েছে।

ওই নারীর দাবি, স্টুডিওর মধ্যে একা পেয়ে তাকে চেপে ধরেছিলেন আনু মালিক। কিছুক্ষণ পর অবশ্য তিনি নিজেই ক্ষমা চেয়ে নেন ওই নারীর কাছে। তবে সেখানেই শেষ নয়, এরপর একটি সংস্থার জন্য চাঁদা আনতে গেলে আবারও তাকে হয়রানি করেন আনু মালিক।

ওই নারী লিখেছেন, ‘আমি আনু মালিকের বাড়িতে গিয়ে জঘন্য পরিস্থিতির মুখোমুখি হই। একটি সোফাতে আমার খুব কাছে এসে বসেছিলেন তিনি। তার পরিবারের কেউ বাড়িতে নেই, এটা জানার পরেই বুঝতে পারি আমি ফাঁদে পড়ে গেছি। তিনি আমাকে জোর করে চেপে ধরে আমার স্কার্ট টেনে নামিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর নিজের প্যান্টের চেন খুলে আমাকে চেপে ধরেছিলেন আনু মালিক। সৌভাগ্যবশত, সেই সময়ই দরজায় বেল বেজে ওঠে। আমি বেঁচে যাই।’

ওই ঘটনার পর আনু মালিক ওই নারীকে হুমকি দেন এই ব্যাপারে কাউকে না জানানোর জন্য। পরে তাকে নিজের গাড়ি করে বাড়িতে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন মালিক।

নারীর অভিযোগ, ‘রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটা ফাঁকা মাঠের মধ্যে গাড়ি দাঁড় করান আনু মালিক। এরপর আবারও তিনি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। হঠাৎ করেই নিজের প্যান্টের চেন খুলে আমার চুল ধরে নিজের কোলে টেনে নেন। বেশ কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তির পর স্থানীয় এক নিরাপত্তারক্ষী গাড়ির দিকে এগিয়ে আসেন। আমি তখন কোনো রকম দরজা খুলে দৌড়ে পালাই।’

আনন্দবাজারের প্রতিবেদন থেকে আরও জানা যায়, অন্য আরেক নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছেন মালিকের বিরুদ্ধে। ওই নারী অভিযোগ করেন, আনু মালিক তাকে একটি শিফন শাড়ি পরে স্টুডিওতে আসতে বলেছিলেন।

স্টুডিওতে আসার পর আনু মালিক তাকে বলেন, ‘আপনার কোনো প্রেমিক নেই, আপনি খুব একা?’ এর পরই স্টুডিয়োর ফ্লোরে তাকে ঠেসে ধরেন। ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন ওই নারী, কারণ পুরো স্টুডিয়োই ছিল সাউন্ডপ্রুফ। চিৎকার করলেও বাইরে থেকে কেউ শুনে যে বাঁচাতে এগিয়ে আসবেন সেই উপায়ও ছিল না। তার আপত্তির পর অবশ্য নিজেকে সামলে নেন আনু মালিক। গম্ভীর গলায় বলেন, ‘আমি আমার স্ত্রী ও পরিবারের সঙ্গে খুব খুশি।’

এই দুই নারীর আগে, ‘#মি টু’ আন্দোলনে বলিউডের সংগীতশিল্পী শ্বেতা পণ্ডিত অভিযোগ করে বলেছেন তাকে নাকি জোর করে চুমু খেতে চেয়েছিলেন আনু মালিক। তিনি টুইট করে বলেন, ‘আমাকে জোর করে কয়েকবার চুমু খেতে গিয়েছিলেন। গায়ে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করেছিলেন। বাধা দেওয়ায় তার বিরাগভাজন হই। নারী সংগীতশিল্পীদের প্রতি যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ ব্যবহারে অভ্যস্ত অানু মালিক’।

তবে এ বিষয়ে আনু মালিকের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে। আনু মালিকের আগে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল সংগীতশিল্পী কৈলাস খের ও বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও পরিচালক নন্দিতা দাসের বাবা প্রখ্যাত চিত্রকর যতীন দাসের বিরুদ্ধে। 

প্রিয় সংবাদ/আশরাফ/রুহুল

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...