প্রেমিক-প্রেমিকা বা দম্পতির মাঝে সম্পর্কটি সুস্থ কিনা, তা নিয়ে কখনো ভেবে দেখেছেন কী?

সুস্থ সম্পর্ক বজায় রাখতে করুন এই একটি কাজ

প্রেমিক-প্রেমিকা বা দম্পতির মাঝে সম্পর্কটি সুস্থ কিনা, তা নিয়ে কখনো ভেবে দেখেছেন কী? সম্পর্কে সুস্থতা বজায় না রাখলে তা উভয়কেই বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে, এমনকি সম্পর্কে ফাটল তৈরি করতে পারে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, সুস্থ সম্পর্ক বজায় রাখতে জরুরী একটি কাজ।

কে এন দেয়া
সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০১৮, ১০:১৪ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৮, ১০:১৪
প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০১৮, ১০:১৪ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৮, ১০:১৪


প্রেমিক-প্রেমিকা বা দম্পতির মাঝে সম্পর্কটি সুস্থ কিনা, তা নিয়ে কখনো ভেবে দেখেছেন কী?

(প্রিয়.কম) প্রেমিক-প্রেমিকা বা দম্পতির মাঝে সম্পর্কটি সুস্থ কিনা, তা নিয়ে কখনো ভেবে দেখেছেন কী?  সম্পর্কে সুস্থতা বজায় না রাখলে তা উভয়কেই বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে, এমনকি সম্পর্কে ফাটল তৈরি করতে পারে।  কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, সুস্থ সম্পর্ক বজায় রাখতে জরুরী একটি কাজ। আর তা হলো ‘আমি’ বা ‘তুমি’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘আমরা’ শব্দটির ব্যবহার বেশি করা।

এধরণের কথাকে ‘উই-টক’ বলা হয়।  এতে দুজন মানুষের মাঝে ফাটল তৈরি হওয়ার পরিবর্তে সম্পর্কের দিকে তাদের মনোযোগ বাড়ে।

এই গবেষণার জন্য ৩০টি পরীক্ষা করা হয়, যাতে অংশগ্রহণ করেন প্রায় ৫,৩০০ মানুষ।  এর মাঝে অর্ধেক মানুষ ছিলেন বিবাহিত, বাকিরা ছিলেন প্রেমিক-প্রেমিকা। গবেষণার জন্য তাদের সম্পর্ক, আচরণ, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য এবং তারা নিজের যত্ন কতটা নেন এ বিষয়ে তথ্য নেওয়া হয়।  দেখা যায়, গবেষণায় অংশ নেওয়া সবাই স্বীকার করেন, তাদের সম্পর্কে ‘উই-টক’ উপকারে আসে।

জীবনসঙ্গীর প্রভাব থাকে আমাদের চিন্তায়, কাজে ও আমাদের আচরণে। একে বলা হয় ‘ইন্টারডিপেন্ডেন্স থিওরি’।  ১৯৫০ দশকের এই তত্ত্ব অনুযায়ী, যেসব দম্পতি দুজনের ভালোর জন্য চিন্তা ও কাজ করে, তারা বিপদের সময়ে বেশি সফল হয়। এতে একে অপরের প্রতি যত্নশীল হতে দেখা যায়, আবার সঙ্গীর আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণেও এ ধরণের অভ্যাস কাজে আসে।

‘আমরা’ বা ‘আমাদের’ এমন শব্দ ব্যবহার করে কথা বললে দম্পতির মাঝে একে অপরের প্রতি ভরসা তৈরি হয়। আলাদা আলাদা নিজের ও সঙ্গীর কথা চিন্তা না করে তারা দুজনের কথা একসাথে ভাবতে শুরু করেন। যেমন ‘আমি আর তুমি সমস্যাটার সমাধান করতে পারব’ তা না বলে, ‘আমরা সমস্যাটা সমাধান করতে পারব’ এ কথা বলাটা বেশি উপকারী।  এতে বোঝা যায় সে সমস্যাটা সমাধান করা দুজনেরই দায়িত্ব এবং কোনো একজনের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে না।

গবেষকরা আরও বলেন, ‘উই-টক’ যেসব দম্পতি ব্যবহার করে তারাই সুখী, নাকি সুখী দম্পতিরা ‘উই-টক’ বেশি ব্যবহার করে, এটা তারা নিশ্চিত নন। অনেকটা ডিম আগে নাকি মুরগী আগে, এমন একটা পরিস্থিতি হয়ে গেছে এ ব্যাপারটায়। তবে দুটোই সম্ভবত সত্যি।

কিছু কিছু সময় অবশ্য ‘উই-টক’ ক্ষতিকর হতে পারে। যেমন একজনের খারাপ অভ্যাস অন্যজনও আয়ত্ত করে ফেলা বা সঙ্গীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের আগে সম্পর্কের সুস্থতা বিবেচনা করার ক্ষেত্রে তা ব্যবহার করা উচিত নয়।

সূত্র: আইএফএলসায়েন্স

প্রিয় লাইফ/ আর বি 

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...