সফল ব্যক্তিরা করে এমন ১০০টি বিষয়: সফল জীবনযাপনের ছোট্ট অনুশীলন’ বইটি হাতে অনুবাদক বুশরা আমিন তুবা। ছবি: নূর, প্রিয়.কম।

সফল ব্যক্তিদের ১০০ জীবনচর্চা (অনুশীলন ৮৮): 'বয়স বাড়লেও কাজ থামিয়ে দেবেন না'

যতোক্ষণ আপনার শক্তি, সুস্বাস্থ্য এবং প্রতিপত্তি আছে ততদিন সত্যিকার অর্থে জীবন যাপন করে নিন। আজ না করলে কবে করবেন?

বুশরা আমিন তুবা
ফিচার লেখক, প্রিয়.কম
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০১৭, ১৪:০২ আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ০৩:০০
প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০১৭, ১৪:০২ আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৮, ০৩:০০


সফল ব্যক্তিরা করে এমন ১০০টি বিষয়: সফল জীবনযাপনের ছোট্ট অনুশীলন’ বইটি হাতে অনুবাদক বুশরা আমিন তুবা। ছবি: নূর, প্রিয়.কম।

(প্রিয়.কম) প্রিয় পাঠক, আপনাদের জন্য রয়েছে আমাদের এ নতুন আয়োজন। এখানে 'দ্য সিল্ক রোড পার্টনারশিপ' এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাইজেল কাম্বারল্যান্ড লিখিত একটি বইয়ের সাথে আপনাদের পরিচয় করানো হবে। বইটির শিরোনাম, 'হান্ড্রেড থিংস সাকসেসফুল পিপল ডু: লিটল এক্সারসাইজেস ফর সাকসেসফুল লিভিং’। এবং আমরা বইটি অনুবাদ করছি "সফল ব্যক্তিদের ১০০ জীবনচর্চা" শিরোনামে। সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজনে প্রতিদিন এই বই থেকে একটি করে বিষয় আলোচনা করা হবে। আজকের আয়োজনে জেনে নিন সফল ব্যক্তিদের করা ৮৮ নম্বর বিষয়টি সম্পর্কে।

অনুশীলন ৮৮: 'বয়স বাড়লেও কাজ থামিয়ে দেবেন না'   

জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করার জন্যে, স্বপ্ন পূরণের জন্যে এবং আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী কাজ করার জন্যে আপনি কখনোই খুব বেশি বয়স্ক নয়। জীবনে পরিপূর্ণ সফলতা কিভাবে অর্জন করবেন যদি নিজের স্বাধীনতা পুরোপুরিভাবে কাজে না লাগাতে পারেন?

ধীরে ধীরে বয়স্ক হবার পথে ধাবিত হবার একটি উপভোগ্য বিষয় হলো সকলের ন্যায়-নীতি ও চাহিদার সঙ্গে আপনি পরিচিত হয়ে যেতে পারেন। এবং একবার সেগুলো আপনার আয়ত্বে চলে আসলে আপনি দ্বিতীয়বার কখনো বলতে পারেন না যে, আমি খুব বয়স্ক এটা করার জন্য। জীবনের একটি পর্যায়ে পৌছে গেলে আপনাকে আর অন্যের খুশির জন্য কাজ করতে হয় না, অন্যের সন্তুষ্টির জন্যে সময় ব্যয় করতে হয় না। যৌবনে আপনাকে হয়তো অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে যেমন সন্তানের দেখাশোনা করা, চাকরী করা, বাড়ির যাবতীয় খরচ বহন করা। কিন্তু এখন আপনি একেবারে মুক্ত, জীবনের সব ঝড়-ঝঞ্ঝা আপনি পার করে এসেছেন।

নিজেকে প্রশ্ন করুন, কোন ব্যাপারটি আপনার চলার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং আপনি আদতে কী হতে চান? এসব প্রশ্নের উত্তর জানলে আপনি আরো বেশি স্বাধীন হয়ে উঠবেন এবং জীবনের অর্থ বুঝতে পারবেন। জীবন অনেক সংক্ষিপ্ত, সুতরাং অন্য মানুষের আশা-আকাংখা নিয়ে আপনি কেন বাঁচবেন? 

যতক্ষণ আপনার শক্তি, সুস্বাস্থ্য এবং প্রতিপত্তি আছে ততদিন সত্যিকার অর্থে জীবন যাপন করে নিন। আজকে না করলে কবে করবেন?

থেমে যাওয়া চলবে না

ক্যারিয়ার, পরিবার এবং বাসস্থানের প্রতি মনোনিবেশ করতে যেয়ে আপনি কী কী শখ,আনন্দ ও লক্ষ্যের বিসর্জন দিয়েছেন? সেসব নিয়ে অনুশোচনা মন থেকে ঝেড়েমুছে ফেলুন। জীবনের ছোট ছোট আশা ও আকাঙ্ক্ষার দিকে মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করুন। হয়তো এখন সেগুলো খুব অপরিপক্ক মনে হবে কিন্তু সমস্যা কী? নতুন কিছু করার চেষ্টা করে দেখুন, গলা ছেড়ে গান ধরুন, নতুন ভাষা শিখুন কিংবা নাচুন। আপনার বয়স কতো, এতে কী এসে যায়?

সৎ এবং মুক্তমনা হোন

নিজের পছন্দগুলোকে বিচার করার কোন দরকার নেই। কেউ হাসলো কী না আপনার পছন্দ ও রুচি নিয়ে সেদিকে একদম মনোনিবেশ করবেন না। কারো কাছে অনুমতি চাওয়ার ও প্রয়োজন বোধ করবেন না। কেউ যদি প্রশ্ন তোলেও আপনার কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে তবে সৎ হয়ে বলুন যে সেটি নিতান্ত ব্যক্তিগত ইচ্ছা আপনার। আপনাকে কেউ যেন অপরাধী কিংবা লজ্জিত প্রমাণ করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। নিজের প্রতি গর্ববোধ করুন। 

প্রিয় লাইফ/ কে এন দেয়া

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...