সফল ব্যক্তিরা করে এমন ১০০টি বিষয়: সফল জীবনযাপনের ছোট্ট অনুশীলন’ বইটি হাতে অনুবাদক বুশরা আমিন তুবা। ছবি: নূর, প্রিয়.কম।

সফল ব্যক্তিদের ১০০ জীবনচর্চা: অনুশীলন ৫০- 'বেশি হাসুন'

হাসি কিন্তু ছোঁয়াচে, জানেন তো?

বুশরা আমিন তুবা
ফিচার লেখক, প্রিয়.কম
প্রকাশিত: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:৫৩ আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০১৮, ২০:৩২
প্রকাশিত: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:৫৩ আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০১৮, ২০:৩২


সফল ব্যক্তিরা করে এমন ১০০টি বিষয়: সফল জীবনযাপনের ছোট্ট অনুশীলন’ বইটি হাতে অনুবাদক বুশরা আমিন তুবা। ছবি: নূর, প্রিয়.কম।

(প্রিয়.কম) প্রিয় পাঠক, আপনাদের জন্য রয়েছে আমাদের এ নতুন আয়োজন। এখানে 'দ্য সিল্ক রোড পার্টনারশিপ' এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাইজেল কাম্বারল্যান্ড লিখিত একটি বইয়ের সাথে আপনাদের পরিচয় করানো হবে। বইটির শিরোনাম,  'হান্ড্রেড থিংস সাকসেসফুল পিপল ডুলিটল এক্সারসাইজেস ফর সাকসেসফুল লিভিং। এবং আমরা বইটি অনুবাদ করছি "সফল ব্যক্তিদের ১০০ জীবনচর্চাশিরোনামে। সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজনে প্রতিদিন এই বই থেকে একটি করে বিষয় আলোচনা করা হবে।আজকের আয়োজনে জেনে নিন সফল ব্যক্তিদের করা ৫০ নম্বর বিষয়টি সম্পর্কে। 

অনুশীলন ৫০- 'বেশি হাসুন' 

সামান্য একটু হাসি আপনার জীবন বদলে দিতে পারে। এটা শুনতে বেশ হাস্যকর লাগছে কিন্তু গবেষণা দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে হাসি যে কোন রোগের মহৌষধ হিসেবে কাজ করে। উচ্চ রক্তচাপ কমায়, স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে, এমনকি ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করার জন্য বিশেষ ধরণের অ্যান্টিবডি প্রস্তুত করে। একটি গবেষণায় তো এমনও প্রমাণিত হয়েছে যে বারংবার হাসা ক্যালোরি বার্ন করতেও সাহায্য করে।

হাসি কিন্তু ছোঁয়াচে, জানেন তো? ইউটিউবে হয়তো আপনি দেখেছেন যে লন্ডনে হাসির বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা হয় যেখানে খোলা একটি পার্কে কেউ একজন বেশ উচ্চস্বরে হাসেন কোন বিরতি ছাড়াই। এবং মুহূর্তের মধ্যে আশেপাশের সবাই হাসি-আনন্দে মেতে ওঠে। হাসিখুশি এবং ইতিবাচক মনের অধিকারী মানুষকে সবাই পছন্দ করে ও ভালোবাসে।

মোদ্দা কথা হলো, হাসি আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো এবং এটি আপনাকে জনপ্রিয় করে তোলে। এটি আপনাকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উজ্জ্বল করে তোলে। 

অনুশীলন মানুষকে পরিপূর্ণ করে তোলে

আপনাকে শিখতে হবে কিভাবে বেশি হাসতে হয়। আপনি যদি বেশি না হেসে থাকেন, তবে এ অভ্যাস ত্যাগ করুন।

*চিন্তামুক্ত থাকা শিখুন এবং মানুষের সঙ্গে ইতিবাচক ব্যবহার করুন।অপরের সঙ্গে কথা বলার সময় মিষ্টি হাসুন।

*মনে মনে আপনি যদি ভালো বোধ না করেন তবুও ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করুন।

*প্রতিদিনের একঘেয়ে রুটিনের বাইরে মজার কোন কাজ করার চেষ্টা করুন।

*অবসর সময়ে কমেডি সিনেমা, বই পড়ার চেষ্টা করুন। 

যে ব্যাপারগুলো আপনার সুখ ও আনন্দকে ক্ষুণ্ণ করে সেগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। নিজের জন্যে হলেও অসন্তুষ্ট এবং বিষণ্ণ মানুষের সঙ্গে কম সময় কাটান। তাদের আচার-আচরণ এবং মনোভাব যেন কোনভাবেই আপনাকে কষ্টে না ফেলে দেয়।

অন্যেরা না হলেও আপনি নিজে ইতিবাচক থাকুন

ইতিবাচকতার স্তম্ভস্বরুপ তৈরি করুন নিজেকে। আপনার চারপাশে যদি কেউ মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে বসে থাকে, তাকে হেসে কিংবা হাসিয়ে উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করুন। 

প্রত্যেকটি কথোপকথনেই যেন আপনার আনন্দ প্রকাশ পায়। কারো অবসর সময়ে তাকে আরাম করতে এবং হাসতে শেখান। দেখবেন, তিনি সারা জীবনের জন্য আপনার কাছে কৃতজ্ঞ হয়ে থাকবেন। 

পাঠকের মন্তব্য(০)

মন্তব্য করতে করুন


আরো পড়ুন

loading ...