শ্রীমঙ্গলে পানিবন্দি ৩০ পরিবার

মানবজমিন প্রকাশিত: ১২ জুন ২০১৯, ০০:০০

পানি চলাচলের রাস্তায় বাঁধ দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে ভূনবীর ইউনিয়নের শাসন ইলামপাড়া গ্রামের ২৫-৩০টি  পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বৃষ্টি পানি জমে বাড়িঘর, ফসলি জমি এবং চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র এই সড়কটি। বৃষ্টির পানিতে নিচু সড়ক ও ফসলি জমি কোমর পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় চলতি আমন চাষে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ গ্রামের রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করা মানুষজন ও শাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দশরথ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে মারাত্মকভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তা দেখার যেন কেউ নেই। গত সোমবার বিকেলে সরেজমিন গ্রামটি ঘুরে দেখা গেছে, জলাবদ্ধতার কারণে কোনো শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যেতে পারেনি। স্থানীয় শামসু মিয়া নামে এক ব্যক্তি অবৈধভাবে বালু তোলার সুবিধার জন্য তার জমিসহ সরকারি খাস জমি একত্রে বাঁধ দিয়ে রেখেছে। গত ৩ মাস পূর্বে এই বাঁধ নির্মাণ করে বালু উত্তোলন করে আসছিল। এর ফলে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হতে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় আশপাশের ফসলি জমি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে পানি জমে থাকায় কোনো ফসল করা সম্ভব হচ্ছে না। আর সামান্য বৃষ্টি হলেই বাড়িঘরে পানি জমে থাকে। জলাবদ্ধতার কারণে গ্রামের একটি কবরস্থান পানির নিচে ডুবে রয়েছে। এই কবরস্থানের অনেক স্থানে পাড় ভেঙে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, শামসু মিয়া বর্ষার শুরুতেই বাঁধ অপসারণ করার কথা বললেও বাঁধ অপসারণ করেনি। বিশেষ করে জলাবদ্ধতায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে সমস্যা হয়। কারণ এ সড়ক দিয়েই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের ঢুকে এবং বের হয়। কিন্তু বৃষ্টির পানি জমে থাকায় ২/৩ মাস যাবৎ তাদের চলাচল করতে সমস্যা হয়। এ কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে চান না। ইলামপাড়া গ্রামের ওই স্কুলের পাশে প্রায় ২০টি পরিবার আছে। জলাবদ্ধতার কারণে তাদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এদিকে, ২নং ভূনবীর ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, আব্দুল হাসিম, আব্দুল মন্নাফ, আব্দুল মোমেন, নজরুল ইসলাম, মতি মিয়া, ইদ্রিছ আলী ও সোহাগ মিয়া গ্রামবাসীদের পক্ষে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের জন্য নির্মিত বাঁধ অপসারণে ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক কৃষি জমি ও বসতবাড়ির জলাবদ্ধতা দূরীকরণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে শামছু মিয়া বালু উত্তোলনের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, পুকুর তৈরির জন্য বাঁধ দিয়েছিলাম। পুকুরে কিছু মাছও আছে। এখন গ্রামের মানুষের সমস্যা হলে মেম্বার চেয়ারম্যান মুরব্বিদের নিয়ে আপাতত চলার জন্য একটি পাইপ দেবো। ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেহান উদ্দিন বলেন, শামসু মিয়া অবৈধ বালু তুলে তার জমির চারদিকে বাঁধ দিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে। এতে কৃষি জমি ও ঘরবাড়ি নিমজ্জিত হওয়ার ২৫ থেকে ৩০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টির খোঁজ নিয়ে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us