শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, ২ লাখ ৬০ হাজার থেকে কমে হল প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার (শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী)। তবে ব্যবধান যাই হোক না কেন, দেবের জয়কে সৌজন্যের জয় হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল।বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই তৃণমূল নেতারা বলেছিলেন এ বার ব্যবধান তিন লক্ষ ছাড়াবে।বৃহস্পতিবার গণনার প্রথম দিকে কিছুটা হলেও বুকে কাঁপন ধরেছিল তৃণমূল নেতাদের। বিজেপির ভারতী ঘোষ যে সমানে সমানে টেক্কা দিচ্ছেন দেবের সঙ্গে। তা হলে কী ভাবে গতবারের চেয়ে আরও ৪০ হাজার ব্যবধান বাড়াবেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী! ব্যবধান বাড়ল না, বরং কমল। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, ২ লাখ ৬০ হাজার থেকে কমে হল প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার (শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী)। তবে ব্যবধান যাই হোক না কেন, দেবের জয়কে সৌজন্যের জয় হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল।ভোট প্রচারের নানা সময়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন ভারতী। তৃণমূলকে ঘর থেকে বার করে কুকুরের মতো মারার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে ভারতীকে বিঁধলেও সে পথে কখনও হাঁটেননি দেব। ফল প্রকাশের পর এ দিনও ভারতী বলছেন, ‘‘দেব অধিকারীর নাম বদলে ছাপ্পা অধিকারী নাম রাখা উচিত। কেশপুরের ফল থেকেই এটা স্পষ্ট।’’ সৌজন্যের মোড়কেই প্রতিক্রিয়া ফিরিয়ে দিয়েছেন দেব। বলেছেন, ‘‘ভারতীদি আমার চেয়ে অনেকটাই সিনিয়র, তাই সৌজন্য বোধটা রাখতে চাইব! নির্বাচনে উনি যথেষ্ট ভাল লড়াই করেছেন। তবে ঘাটালের মানুষ রায় দিয়েছেন। আমাদের একসঙ্গে থেকে কাজ করতে হবে। উন্নয়নের কাজে আমার ভারতীদিরও সমর্থন লাগবে।’’কেশপুরই যে ভারতীর মাথাব্যথা এই ভোটপর্বে তা স্পষ্ট হয়েছে বারবার। তবু আত্মবিশ্বাসের সুরে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘কেশপুর যতই তৃণমূলকে লিড দিক, আমিই জিতব।” ভোটের দিনও যাবতীয় যা অশান্তি তা হয়েছে কেশপুরেই। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, কেশপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৯০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছেন দেব। ঘটনাচক্রে সকালের দিকে তৃণমূল নেতাদের বুক দুরুদুরু কেটে যায় কেশপুরের ফল দেখে। দুপুরের পর থেকে ৫০ হাজারেও বেশি ভোটে এগিয়ে যান দেব। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভার ফল বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে ডেবরা এবং পাঁশকুড়া পশ্চিমে এগিয়ে রয়েছেন ভারতী। ঘাটাল, দাসপুর, সবং, পিংলা, কেশপুরে এগিয়ে রয়েছেন দেব। কিন্তু কেন দেবের ব্যবধান বাড়ল না? তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলছেন, “দেব এক লক্ষের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন। বাকিটা বিধানসভা ভিত্তিক বিশ্লেষণ করে বলতে পারব।” আর বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্য বলছেন, “ঘাটাল কেন্দ্রে বিজেপির নৈতিক জয়। ভারতী ঘোষকেই মানুষ চেয়েছেন। ওদের প্রার্থীকে তো জেতানো হয়েছে।” সুত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা