আখলাছ আহমেদ প্রিয়:বানিয়াচং উপজেলার টুপিয়াজুরি গ্রামের দক্ষিনবন্দ নামক স্থানে শত্র"তার জের ধরে বিষ দিয়ে নিরীহ এক ব্যক্তির ফার্মের ১৩শত হাঁস নিধন করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সচেতন এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মামলা সূত্র জানায়, উপজেলার টুপিয়াজুরি গ্রামের মৃত রহমত উল্লাহর পুত্র মোঃ ছইব উল্লা তার বাড়িতে ১৯শত হাঁসের ফার্ম দিয়ে ডিম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। এমতাবস্থায় একই গ্রামের মৃত চেরাগ আলীর পুত্র মোঃ জালাল মিয়া বিভিন্ন সময় ছইব উল্লাহর কাছ থেকে টাকা পয়সা নিতে চায়। এতে তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর কিছু দিন পর ছইব উল্লার পুত্র তার সহযোগিকে নিয়ে ১৯শত হাঁসকে খাবার খাওয়াতে একই গ্রামের আক্রম আলীর পুত্র কাছুম আলীর ধানের জমিতে নিয়ে যায়। এতে জালাল মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ছইব উল্লাহর পুত্রকে বাধা দেয়। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়। এ সময় জালাল মিয়া তাকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এর জের ধরে গত ১১ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় ছইব উল্লা তার পুত্রকে নিয়ে গ্রামের দক্ষিন দিকে তার ফার্মের ১৯শত হাঁসকে খাওয়ানোর জন্য একই গ্রামের খুর্শেদ মিয়া ও ইসমাইল মিয়ার ধানের জমিতে ছাড়েন। এর পূর্বেই জালাল মিয়া, আয়াত আলী ও কাছুম আলী ওই জমিতে বিষ ফেলে রাখে। ফলে কিছুক্ষনের মধ্যেই হাসগুলো বিষাক্রান্ত অবস্থায় ছটপট করতে থাকে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে ছইব উল্লা জমির পাশে দাড়ানো জালাল মিয়া, আয়াত আলী ও কাছুম আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়। এর জের ধরে জালাল মিয়া তার লোকজন নিয়ে ছইব উল্লা ও তার পুত্রের উপর হামলা চালায়। এতে ছইব উল্লা ও তার পুত্র গুরুতর আহত হয়। এ সময় হামলাকারীরা তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। এতে ১২শত হাস মারা যাওয়ার কারনে তাদের প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধণ হয়। এ ঘটনায় ছইব উল্লা বাদি হয়ে জালাল মিয়াসহ ৫ জনকে আসামী করে গত ১৩ মে হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।সুত্র:হবি:সমাচার