মহাদেবপুরে তিলের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৮ মে ২০১৯, ০০:০০

অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় মহাদেবপুর উপজেলার  কৃষকরা তিল চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। প্রতি বছর এ উপজেলায় তিল চাষের জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি মৌসুমে মহাদেবপুর  উপজেলায় গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ জমিতে তিল চাষ হয়েছে। কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন এলাকার কৃষকরা। আমন ধান কাটার পর ক্ষেত যখন খালি থাকে তখন তিল চাষ করা যায়। এতে ধানের কোনো ক্ষতি হয় না। তিল চাষে সার ও কীটনাশক লাগে না বললেই চলে। গরু-ছাগলে তিল খায় না তাই রক্ষণাবেক্ষণে কোনো খরচ হয় না। কম শ্রম ও খরচে তিল চাষ করা যায় বলে এ উপজেলার কৃষকরা জানিয়েছেন। এক বিঘা জমিতে তিল চাষে খরচ হয় গড়ে প্রায় ৪ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে ৬ থেকে ৮ মণ তিল উৎপন্ন হয়। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে প্রতি মণ তিলের দাম হচ্ছে ২ হাজার টাকা। এ হিসেবে এক বিঘা জমির মৌসুমী এ পণ্য থেকে কৃষকের লাভ প্রায় ৮ থেকে ১২ হাজার টাকা। রোদইল গ্রামের কৃষক আলিম উদ্দীন ও পরিতোস, সফাপুর গ্রামের লুৎফর রহমান ও সাদেকুল ইসলাম  জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টি তিলের জন্য ক্ষতিকর। তবে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে ভালো হয়। এবার তিল চাষ শুরুর পর চৈত্র-বৈশাখ মাসে মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে এবার তিলের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকরা আশা করছেন তিল উঠা পর্যন্ত কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে মহাদেবপুরে তিলের ভালো ফলন পাওয়া যাবে। তিল দিয়ে তেলসহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবার তৈরি করা হয়। মহাদেবপুর উপজেলাসহ উত্তরাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি হাট-বাজারে তিলের খাজা, তিলের নাড়ু, তিলের জিলাপি প্রভৃতি খাবারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও তিলের ভর্তা, ঘাটিসহ বিভিন্ন রান্নায় তিল ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এনায়েতপুর ইউপির উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মুমিন জানান, কম খরচে উৎপাদন করে বাজারে ভাল দামে বিক্রি করতে পেরে তিল চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। স্বাস্থ্যসম্মত তৈল জাতীয় শষ্য তিল কম শ্রম এবং খরচে সব মাটিতে উৎপাদন হওয়ায় কৃষকরা তিল চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জাহাঙ্গীর আলম প্রামানিক জানান, তিল চাষে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধির জন্য তিলের ব্যবহার এবং তিল থেকে উৎপাদিত তৈল আমাদের স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি করে না এবিষয়ে কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে। প্রতি বছরই তিল চাষের জমির পরিমাণ বাড়ছে। গত বছর মহাদেবপুর উপজেলায় ১৫.২ হেক্টর জমিতে তিল চাষ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩০.৫ হেক্টর জমিতে তিল চাষ হয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us