‘দেশে ফেরা ১১ শ্রমিকের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার ঘটনার সম্পৃক্ততা নেই’
প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০১৯, ০২:২৮
শ্রীলঙ্কায় সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় ফেরত ১১ বাংলাদেশী শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তাদের কোন সম্পৃক্তা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ইউনিট প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম। আজ নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকের এসব তথ্য দেন তিনি।মনিরুল ইসলাম বলেন, ফেরত শ্রমিকদের সঙ্গে ওই ঘটনার সম্পৃক্তা না থাকলেও তারা সবাই শ্রীলঙ্কায় হামলার অন্যতম হোতা ইব্রাহীম ইনসাফ আহম্মেদের কারখানায় কাজ করতো।এর আগে শ্রীলঙ্কায় আত্মঘাতী সিরিজ বোমা হামলার পর ওই দেশ থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে ১১ বাংলাদেশি শ্রমিককে। দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। গত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ওই শ্রমিকদেরকে পুলিশের বিশেষ ইউনিট কাউন্টার টেরোরিজম তাদের হেফাজতে নেয়। বিমানবন্দরে কর্তব্যরত একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। তারা জানান, আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে শ্রীলঙ্কা থেকে আগত ১১ জন বাংলাদেশী শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।এর আগে শুক্রবার দুপুর ১২ টায় মালিন্দ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে এই শ্রমিকরা ঢাকায় আসেন।এদিকে এ ঘটনায় কাউন্টার টেররিজম এর একটি সূত্র থেকে জানা যায়, শ্রীলঙ্কায় ফেরত এই শ্রমিকরা আত্মঘাতী এক বোমা হামলকারীর প্রতিষ্ঠানে কাজ করতো। যার কারণে দুপুরের পর থেকেই তাদের ইমিগ্রেশন পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্য গোয়েন্দা সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।সূত্রটি আরো জানায়, কলম্বোর উপশহর এলাকায় ইনসাফ ইব্রাহীম নামে এক ব্যক্তির তামা কারখানায় কাজ করতেন তারা। পুলিশের বরাত দিয়ে শ্রীলঙ্কান গণমাধ্যম বলছে, আত্মঘাতী হামলায় ব্যবহৃত বোমাগুলো ইনসাফ ইব্রাহীমের ওই তামার কারখানাতেই তৈরি হয়েছিল।হামলার পর কারখানাটি বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে সেখানে কাজ করা বিদেশি শ্রমিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।