দু’জনের মধ্যে রাজনীতির ময়দানে অহি নকুল সম্পর্ক। কিন্তু ব্যক্তিগত স্তরে দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক খুবই ভাল। গত বুধবার বলিউড সুপারস্টার অক্ষয় কুমারের সঙ্গে অরাজনৈতিক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মমতার পছন্দ করেন কুর্তা ও মিষ্টি পাঠানোর কথা বলার পরই রাজ্যের রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেনে নিয়েছেন একথা। বৃহস্পতিবার বীরভূমের সিউড়িতে এক জনসভায় মমতা বলেছেন, কুর্তা দিলে দোষ কোথায়? পয়লা বৈশাখে দিই। দুর্গা পুজোয় দিই। আমও পাঠাই। তৃণমূল নেত্রীর দাবি, এরকম উপহার তিনি অনেককেই পাঠিয়ে থাকেন।কিন্তু এই ‘সৌজন্য’কে ভাঙিয়ে তিনি কোনও রাজনীতি করেন না বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অক্ষয়কুমার মোদীর কাছে বিরোধী নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানতে চেয়েছিলেন তখনই মোদী নিজেই টেনে আনেন মমতার নাম। মোদী বলেছেন, এটা বলে দিলে নির্বাচনে লোকসান হতে পারে আমার। মমতাদি প্রতিবছর একটা-দুটো কুর্তা নিজে পছন্দ করে আমাকে পাঠান। ঢাকা সফরে শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। তারপর থেকে প্রতি বছর দু-তিনবার আমায় পছন্দ করে ভাল মিষ্টি পাঠান উনি। সেটা দেখে মমতাদি-ও মিষ্টি পাঠান। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রধানমন্ত্রীর মুখে এহেন সম্পর্কের কথা সামনে আসার পরই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গতকাল মোদীর বক্তব্যের পরই তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইটারে লিখেছেন, ৫৬ ইঞ্চির মিত্রো ২৪ দিন আগে আপনাকে বিতর্কে অংশ নেওয়ার চ্যালেঞ্জ করেছিলেন মমতা। বিতর্কে আসুন। কিন্তু আপনি মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে গিমিক করছেন। তবে সিপিআইএম অনেকদিন ধরেই বলে এসেছে, বিজেপির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের গোপন সেটিং বরাবরই রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে বুঝিয়ে দিয়েছেন, সেটিং কেবল অনুমানের বিষয় নয়। সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, মুখে মুখ্যমন্ত্রী যতই বিজেপির বিরুদ্ধে বলুন, আমরা জানি এদের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। সেসবই বেরিয়ে পড়ছে।