দৈনিকসিলেটডেস্ক: স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সুস্বাস্থ্য এমনিতেই ধরা দেবে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে আমরা ভালো কিছু অভ্যাস গড়ে তুলি। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন এই অভ্যাসগুলোর মধ্যেই একটি হতে পারে মারাত্মক কোনো অসুখের কারণ? আর সেই অসুখটির নাম হচ্ছে ডায়াবেটিস। সারা বিশ্বে প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন। ভারতকে ডায়াবেটিসের রাজধানী বলা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ডায়াবেটিস ২০৩০ সালের মধ্যে মৃত্যুর সপ্তম প্রধান কারণ হবে। এটি কিডনির সমস্যা, হৃদরোগ, স্ট্রোক, অন্ধত্বের প্রধান কারণ। এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যে যারা প্রতিদিন দুইবার বা তার বেশি সময় ধরে মাউথওয়াশ ব্যবহার করেন তারা ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে রয়েছেন সবচেয়ে বেশি। মুখের অভ্যন্তরে ভালো এবং খারাপ এই দুই ধরনেরই জীবাণু আছে। আমরা প্রতিদিন যে মাউথওয়াশ ব্যবহার করি তা জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি ভালো আর খারাপ জীবাণুকে আলাদা করতে পারে না বরং সব জীবাণুকেই ধংস করে দেয়। মাউথওয়াশকে বলা হয় প্রাকৃতিক এন্টিসেপ্টিক। এদিকে আবার আমাদের শরীরে বিপাক ক্রিয়ার জন্য ভালো জীবাণুর প্রয়োজন রয়েছে। মুখের অভ্যান্তরীণ জীবাণুগুলো নাইট্রিক অক্সাইডে পরিবর্তিত হয়। পরে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাফ্ট নাইট্রিক অক্সাইডকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অণুতে রূপান্তরিত করে। এটি আমাদের রক্তে এটি ইনসুলিন স্তরের নিয়ন্ত্রণ করে। এটি বিপাক এবং শক্তিমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। যারা দিনে দুইবারের বেশি মাউথওয়াশ ব্যবহার করেন তাদের মুখের ভেতরে নাইট্রেট উৎপাদন ৯০ শতাংশ এবং রক্তের নাইট্রেট মাত্রা ২৫ শতাংশ কমেছে। মাউথওয়াশ যদি প্রয়োজনীয় ও উপকারী জীবাণুও ধংস করে ফেরে তাহলে তা আমাদের শরীরের বড় কোনো ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে! নিয়মিত দাঁত মাজা এবং ফ্লসিংয়ের অভ্যাস থাকলে আলাদা করে মাউথওয়াশ ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না। মুখের অভ্যান্তরীণ সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন মাউথওয়াশ ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। সুত্র: ওএস