ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম বিতরণ শেষ হয়েছে। গতকাল শেষ দিনে প্যানেল ঘোষণা এবং মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছে সংগঠনগুলো। মোস্তাফিজুর রহমানকে ভিপি ও আনিসুর রহমান খন্দকার অনিককে জিএস ঘোষণা করে প্যানেল ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীকে ভিপি ও ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজীরকে জিএস হিসেবে রেখে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিয়েছে বাম জোট। সংগঠনের যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল হক নূর ও রাশেদ খানকে ভিপি-জিএস হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। যোগ্যদের বিবেচনায় নেয়া হয়নি দাবি করে পৃথক প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগের একাংশ। মনোনয়ন ফরমের সংগ্রহের শেষ সময় হওয়ায় প্রতিটি সংগঠন ডাকসুর পাশাপাশি হল সংসদে মনোনয়ন ফরম তুলেছে। এ ছাড়া ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারাও ফরম তুলেছেন। এদিকে আসন্ন ডাকসু নির্বাচন নিয়ে গতকালও ক্যাম্পাস ছিল সরগরম। উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল হলগুলোতে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আড্ডায় প্রাধান্য পেয়েছিল ছিল ডাকসুর আলোচনা।ছাত্রলীগের বিদ্রোহী প্যানেল ঘোষণাএদিকে ছাত্রলীগের প্যানেলে যোগ্যদের মূল্যায়ন করা হয়নি দাবি করে পৃথক প্যানেল দিয়েছেন সংগঠনটির একাংশ। গতকাল মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্যানেল ঘোষণা করেন সংগঠনটির গত কমিটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সোহান খান। এ সময় সংগঠনটির বিদ্রোহী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বিদ্রোহী প্যানেলে সংগঠনটির গত কমিটির সহ-সভাপতি সোহান খানকে ভিপি পদে ও শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে জিএস পদে মনোনয়ন করা হয়েছে। বিদ্রোহী প্যানেলের হয়ে অন্যান্য পদে লড়বেন- এজিএস পদে মো. রনি, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. আল মামুন, বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে জিএম সাকির, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে তামজিদ হোসেন তামিম, সাহিত্য সম্পাদক পদে মাসুদ রানা ও ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে গাজী লাবিদ হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আল মামুন বলেন, ছাত্রলীগের প্যানেলে যোগ্যদের মূল্যায়ন হয়নি। তাই আমরা মনে করছি আমাদেরও নির্বাচনের অধিকার রয়েছে। তাই আমরা প্যানেল ঘোষণা করছি। আমরাও নির্বাচন করবো। এ সময় আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, যারা গত নয় মাসে ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি, তারা ডাকসুতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কী দেবে। আমাদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ছাত্রদলকে ফুল দিয়ে মধুতে স্বাগত জানায়। আমাদের প্রশ্ন যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করে না তাদের ফুল দিয়ে কীভাবে তিনি নিজেকে মুজিব আদর্শের সৈনিক দাবি করতে পারেন।বামজোটের প্যানেল ভিপি লিটন নন্দী- জিএস বেনজীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীকে ভিপি ও ছাত্র ফেডারেশনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবীবা বেনজীরকে জিএস করে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিয়েছে বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলোর বামজোট। গতকাল দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রগতিশীল ছাত্র জোট ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য সমর্থিত বামজোটের প্যানেল ঘোষণা করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইমরান হাবীব রুম্মন। এ সময় জোটভুক্ত সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নিজেদের বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জোট নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সংসদের পূর্ণাঙ্গ প্যানেলের পাশাপাশি হল সংসদের ভিপি-জিএস এর নাম ঘোষণা করা হয়। বামজোটের প্যানেলে মনোনয়ন প্রাপ্ত অন্যরা হলেন- এজিএস পদে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি সাদিকুল ইসলাম সাদেক, রাজিব কান্তি রায় (মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক), উলুল আমর তালুকদার (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক), সুহাইল আহমেদ শুভ (কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক), মীম আরাফাত মানব (আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক), রাজিব দাস (সাহিত্য সম্পাদক), ফাহাদ হাসান আদনান (সাংস্কৃতিক সম্পাদক), শুভ্রনীল রায় (ক্রীড়া সম্পাদক), হাসিব মোহাম্মদ আশিক (ছাত্র পরিবহন বিষয়ক সম্পাদক) ও ফয়সাল আল মাহমুদ (সমাজ সেবা সম্পাদক)। এ ছাড়া সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন- মঈনুল ইসলাম তুহিন, আজিজুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, আফনান আক্তার, মৃণ্ময়, সালমান ফারসি, রাহাতিল রাহাত, আরমানুল হক, প্রান্ত প্রতিক, ফারহান খান পান্থ. মণিষা আকতার। প্যানেল ঘোষণার পর বামজোট মনোনীত প্রার্থীরা স্ব স্ব হল থেকে নির্বাচনের মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। নূর-রাশেদই আস্থা কোটা আন্দোলনকারীদেরডাকসু নির্বাচনে লড়তে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফরম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ঘোষণা করেছে নিজেদের প্যানেল। প্যানেলে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূরকে ভিপি, রাশেদ খানকে জিএস এবং ফারুক হাসানকে এজিএস হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়। গতকাল সকালে ডাকসু ভবনের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্যানেল ঘোষণা করেন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। এ সময় তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নিজেদের প্যানেলে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কোটা আন্দোলনকারীদের প্যানেলে অন্যান্য পদে লড়বেন- নাজমুল হুদা (স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক), সোহরাব হাসান (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক), শেখ এমিলি (কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক), হাবিবুল্লাহ বেলালী (আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক), আকরাম হোসেন (সাহিত্য সম্পাদক), নাহিদ ইসলাম (সাংস্কৃতিক সম্পাদক), মামুনুর রশীদ (ক্রীড়া সম্পাদক), রাজিবুল ইসলাম (ছাত্র পরিবহন সম্পাদক) ও আখতার হোসেন (সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক)। এ ছাড়া সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন- উম্মে কুলসুম বন্যা, রাইয়ান আব্দুল্লাহ, ইমরান হোসেন ও শাহরিয়ার আলম সৌম্য। তবে কৌশলগত কারণে অন্যান্য পদ ও হল সংসদের ভিপি-জিএস-এর নাম ঘোষণা করেনি তারা। প্যানেল ঘোষণার পর কোটা আন্দোলনকারীরা নিজ নিজ হল থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।ছাত্রদলের প্যানেলে ভিপি পদে মোস্তাফিজ, জিএস আনিসঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে নিজেদের প্যানেল ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমানকে সহ-সভাপতি (ভিপি), শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুর রহমান খন্দকার অনিককে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম সোহেলকে সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী করে ছাত্রদল ঘোষণা করেছে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল। গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে প্যানেল ঘোষণা করেন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার সিদ্দিকী। ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদের পাশাপাশি আবাসিক হলগুলোতেও নিজেদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ছাত্রদল। ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫টি পদে আর হল সংসদগুলোতে ১৩টি পদে নির্বাচন হবে। ডাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক পদে জাফরুল হাসান নাদিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মাকসুদুর রহমান, কমন রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে কানেতা ইয়ালাম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে আশরাফুল আলম উজ্জ্বল, সাহিত্য সম্পাদক পদে মিনহাজ আহমেদ প্রিন্স, সংস্কৃতি সম্পাদক পদে কাইয়ূম-উল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মনিরুজ্জামান মামুন, ছাত্রপরিবহন সম্পাদক পদে মাহফুজুর রহমান চৌধুরী ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে তৌহিদুল ইসলাম ছাত্রদলের মনোনয়ন পেয়েছেন। ডাকসুর সদস্যপদে ছাত্রদলের মনোনয়ন পেয়েছেন হাবিবুল বাশার, শাহিনুর ইসলাম, সাঈদ বিন আনোয়ার, আরিফ হোসেন, ইকবাল হোসাইন, সাহাব উদ্দিন, মাহমুদুল হাসান, সাফায়াত হাসনাইন সাবিত, তানভীর আজাদী সাকিব, সুলতান মো. সালাউদ্দিন সিদ্দিক, মো. শরীফুল ইসলাম, ইমাম আল নাসের মিশুক, আলমগীর হোসেন ও আবুল বাশার। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের প্যানেল ঘোষণা করা হয়। প্যানেল ঘোষণা করেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান। এ সময় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সাবেক ছাত্রনেতা রকিবুল ইসলাম বকুল ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাজিব আহসান উপস্থিত ছিলেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে প্যানেল ঘোষণার সময় ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র করা, পরিবেশ তৈরির জন্য নির্বাচন তিন মাস পেছানোসহ সাত দফা দাবি জানালেও প্রশাসন আমাদের দাবির ব্যাপারে কর্ণপাত করেনি। আমরা ডাকসু নির্বাচন চাই। তাই খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই প্যানেল ঘোষণা করলাম। সাত দফা দাবিতে আমরা এখনো অনড় আছি। যথাযথ পরিবেশ নিশ্চিত করেই নির্বাচন দেয়া হোক। এদিকে ছাত্রদল থেকে ভিপি পদে প্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ে ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক ফাহমিদা মজিদ ঊষা। তিনি নিয়মিত শিক্ষার্থী এবং বয়স ৩০-এর নিচে হলেও তার নাম উঠেনি ভোটার তালিকায়। তিনি হাইকোর্টে প্রতিকার চেয়ে রিট করেছিলেন। গতকাল হাইকোর্ট তার নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ও প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেয়ার নির্দেশনা দেন। কিন্তু গতকাল বিকাল ৪টা পর্যন্ত ছিল প্যানেল ঘোষণার শেষ সময়। একরকম বাধ্য হয়ে তাকে বাদ রেখেই প্যানেল ঘোষণা করে ছাত্রদল। ফলে আদালতের নির্দেশনা পেলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন না ঊষা। হল সংসদের প্যানেল: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল: ভিপি আমান উল্লাহ, জিএস পদে শাহ নেওয়াজ, এজিএস ফারহান খান, সম্পাদক পদে মিরাজুল ইসলাম ও নূরে আলম সিদ্দিক। মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল: ভিপি পদে মুহাম্মদ তারেক হাসান, জিএস রায়হানুল ইসলাম, এজিএস মো. ইমন ও সম্পাদক মো: তরিকুল ইসলাম। বিজয় একাত্তর হল: ভিপি পদে মো. কাওসার, জিএস বজলুর রহমান বিজয়, এজিএস তানজিল হাসান ও সম্পাদক পদে সাইফ খান। মাস্টার দা’ সূর্যসেন হল: ভিপি পদে এরশাদ মাহমুদ, জিএস আব্দুল খালেক, এজিএস আজিজুল হক, সম্পাদক পদে রাকিব আল ইসলাম শেখ শোভন ও তানভীর হাসান। কবি জসীম উদ্-দীন হল: ভিপি পদে তৌহিদুর রহমান, জিএস সৈকত মোর্শেদ, এজিএস আবিদুল ইসলাম খান, সম্পাদক পদে এনামুল হক ও মনিরুজ্জামান মুন্না। স্যার এ.এফ রহমান হল: ভিপি পদে হোসাইন আহম্মেদ সাদ্দাম, জিএস শরীফুল ইসলাম, এজিএস জারিফ রহমান, সম্পাদক পদে মাহবুবুর রহমান সেজান, নাহিদ হাসান ও এস.এম তরিকুল ইসলাম। মুহসীন হল: ভিপি পদে কাওসার আলম রাসেল, জিএস মো. মাহফুজুর রহমান, এজিএস কাউসার আহমেদ ও সম্পাদক পদে মিনহাজুল হক। সলিমুল্লাহ মুসলিম হল: ভিপি পদে নাহিদুজ্জামান নাহিদ, জিএস আল আমিন, এজিএস জুবায়ের আহমেদ, সম্পাদক পদে রেদওয়ান মাহাদী জয়, সাইখ আল ফারাবী ও ইমন মিয়া। জহুরুল হক হল: ভিপি পদে আবদুল্লাহ আল মামুন, জিএস ফেরদৌস আলম, এজিএস মোহাম্মদ ইকরাম খান, সম্পাদক পদে আশরাফুল আলম ও মেহেদী হাসান। ফজলুল হক মুসলিম হল: ভিপি পদে মাসুম বিল্লাহ, জিএস নূর আলম ভূঁইয়া ইমন, এজিএস কামরুল ইসলাম ও সম্পাদক পদে ইমরান হোসেন। অমর একুশে হল: ভিপি পদে মোসাদ্দেক রহমান সৌরভ, জিএস মো. জসীম খান, এজিএস আকতারুজ্জামান বাপ্পী, সম্পাদক সাব্বির হোসেন ও আলিফ লাম। শহীদুল্লাহ হল: ভিপি পদে সাইদুর রহমান রাফসান, জিএস মাহবুব আলম শাহিন, এজিএস ইবরাহিম খলিলুল্লাহ ও সম্পাদক নুরুল আমিন নূর।