ছয় মাসে নিষ্পত্তির নির্দেশ, সচল হচ্ছে বড় পুকুরিয়া মামলা
প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে করা বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আগের আদেশ তুলে নিয়ে বিচারিক আদালতকে ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে বিচারিক আদালতে মামলাটির কার্যকম সচল হবে। ঢাকার দ্বিতীয় বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানির অপেক্ষায় ছিল। আজ মঙ্গলবার এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন রয়েছে। মামলার বাতিল চেয়ে সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আমিনুল হকের করা আবেদন খারিজ করে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আইনজীবী অনিক আর হক আদেশের পর বলেন, ‘হাইকোর্ট মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।’ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘১০ বছর ধরে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের আবেদনে বড় পুকুড়িয়া মামলার কার্যক্রম স্থগিত ছিল। হাইকোর্ট রুল খারিজ করে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছেন। ফলে বিচারিক আদালতে মামলার বিচার চলতে বাধা নেই।’ এর আগে বড় পুকুরিয়া মামলায় খালেদা জিয়ার করা মামলা বাতিলের আবেদন ২০১৫ সালের ১৭ই সেপ্টেম্বর বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রব সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খারিজ করে দেন। রায় হাতে পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। আপিল বিভাগেও ওই খারিজ আদেশ বহাল থাকে। জরুরি অবস্থার সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং তার মন্ত্রিসভার ১০ সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় অভিযোগ করা হয় চীনা প্রতিষ্ঠান কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারিজ ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সঙ্গে বড় পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করার মধ্যদিয়ে রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। একই বছর ৫ই অক্টোবর ১৬ জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ১৬ আসামির মধ্যে ৬ জন আসামি বিভিন্ন সময়ে মারা গেছেন।