সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার হোল্ডিং ট্যাক্স পুনর্মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরু
প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার হোল্ডিং ট্যাক্স পুনর্মূল্যায়ন (জেনারেল রি-অ্যাসেসমেন্ট) কার্যক্রম শুরু করেছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। গতকাল সকালে নগরীর ১৮নং ওয়ার্ডের কুমারপাড়াস্থ মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বাড়ির পুনর্মূল্যায়ন ফরম গ্রহণের মধ্যদিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি। গতকাল প্রথম দিনে সিটি করপোরেশনের ১, ২, ৪, ১৫, ১৭ ও ১৮নং ওয়ার্ডে ৬টি টিমের সমন্বয়ে নতুন এবং পুরাতন বাসা-বাড়ির বিবরণ ও বাণিজ্যক ভবন, স্থাপনা, জমির পরিমাণসহ বিস্তারিত বিবরণ প্রেরণের জন্য রি-অ্যাসেসমেন্ট ফরম বিতরণ করা হচ্ছে। ফরম পাওয়ার পর তা পূরণপূর্বক ৭ দিনের মধ্যে নগর ভবনের অ্যাসেসমেন্ট শাখায় জমা দিতে হবে। এ কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে চলবে। ফলে রাজস্ব বাড়বে সিটি করপোরেশনের। পাঁচ বছর অন্তর এ কার্যক্রম নির্ধারণের বিধান থাকলেও দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছরেও এ কার্যক্রমের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। দ্বিতীয় মেয়াদে আরিফুল হক চৌধুরী সিসিকের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম দিকেই এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তবে, প্রথম মেয়াদে এ উদ্যোগ গ্রহণের ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ প্রায় তিন বছর কারাবাসের কারণে সেটি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি জানিয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, রি-অ্যাসেসমেন্ট কাজে সংশ্লিষ্টদের কোনো অনিয়ম-গাফলতি বরদাস্ত করা হবে না। এ কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো অনিয়মের অভিযোগ থাকলে সরাসরি তাকে জানানোর অনুরোধ করেন। মেয়র বলেন, ‘হোল্ডিং ট্যাক্স মাফ করার কোনো বিধান নেই। অতীতে যারা হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় না করে ভোটের রাজনীতির স্বার্থে সম্মানীত নাগরিকদের শুধু বকেয়া ঋণের বোঝা বাড়িয়েছেন, তারা সম্মানীত নাগরিকদের মারাত্মকভাবে ক্ষতি করেছেন। তিনি বলেন, এখন সেই ঋণ আদায় করতে নগরবাসীকে যেভাবে পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়, ঠিক সেভাবে আমাকেও পড়তে হচ্ছে বিভ্রান্তিতে।’ সিসিকের সচিব মোহাম্মদ বদরুল হক বলেন, ‘পুরনো এবং নতুন বাসা-বাড়ির ধার্যকৃত হোল্ডিং ট্যাক্সের সমতা ফিরিয়ে আনতে প্রায় ৫৫ হাজার হোল্ডিংধারীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহপূর্বক কর ধার্য কার্যক্রম চলবে ২৭টি ওয়ার্ডে। এ কাজে সব নাগরিকের সর্বাত্মক সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।’ সিসিকের এসেসর চন্দন দাশ জানান, ‘রি-অ্যাসেসমেন্ট ফরম গ্রহণের সময় থেকে ৭ দিনের মধ্যে তা পূরণ করে জমা দিতে হবে। অন্যথায় বিধি অনুযায়ী একতরফাভাবে কর নির্ধারণ করা হবে।’ এ সময় সিসিকের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-৩ এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জল, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।