মারুফুল আলম : ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. দিবা হোসেন বলেছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত যারা ধরা পড়েছে, তাদের কঠোর শাস্তি বা আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে এসব কাজ থেকে তারা বিরত থাকবে। বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রæত অ্যাকশনে গেলে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করা সম্ভব হবে।স্কুল কলেজে পড়ার পরও কোচিং সেন্টারের প্রতি শিক্ষার্থীদের নির্ভরতার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, অভিভাবকরা মনে করছেন, কোচিং সেন্টারে না গেলেই বুঝি তাদের সন্তান ভালো রেজাল্ট করতে পারবে না। কোচিং সেন্টারে গেলেই যে শিক্ষার্থীরা ভালো রেজাল্ট করতে পারবে এই চিন্তা থেকে সরে আসতে হবে। কোচিং সেন্টারের প্রতি নির্ভরতা বাচ্চাদের ওপর মানসিক চাপ উল্লেখ করে তিনি বলেন, অভিভাবকরা যেনো বাচ্চাদের একটু সময় দেন। স্কুলে শিক্ষকরা যদি ঠিকমতো পড়ান এবং বাচ্চারা সেটি বাসায় গিয়ে পড়ে ফেলে, তাহলে কোচিং সেন্টারের প্রতি এতোটা নির্ভরতা থাকে না। এতে অভিভাবকদেরও সময় দেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।দিবা হোসেন মনে করেন, পরীক্ষার আগের মাসটি কোচিং সেন্টারে পেছনে দৌঁড়াদৌড়ির পরিবর্তে সারা বছর যা পড়েছে, তা এক মাস বাসায় রিভাইজ করলেই অনেক সুফল আসবে। সরকারের কোচিং সেন্টার বন্ধের সিদ্ধান্তে আসলে কি কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে, সেটি বলবো না। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে কিছু চক্র কাজ করছে। তবে, কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে খুব দ্রæত ছড়িয়ে পড়ছে। যে চক্রগুলো এতে জড়িত, তাদেরকে শক্তহাতে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।