আজ বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) শুরু হচ্ছে দেশে সিনেমা দেখার সবচেয়ে বড় আয়োজন, ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। নয় দিনের উৎসব চলবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ সাতাশ বছর ধরে এই উৎসব আয়োজন করে আসছে। এবারও উৎসবের মূল শ্লোগান, নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ।
দেশের বৃহত্তম চলচ্চিত্র উৎসব এটি। ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এবার থাকছে আটটি বিভাগ।
এশিয়ান কম্পিটিশন, রেট্রোস্পেকটিভ, বাংলাদেশ প্যানোরোমা, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, চিলড্রেনস ফিল্ম, শর্ট অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্ট ফিল্ম, উইমেন ফিল্মমেকারস ও স্পিরিচুয়াল ফিল্মস- ক্যাটাগরিতে প্রদর্শিত হবে মোট ৭২টি দেশের ২২০টি চলচ্চিত্র। ঢাকা ক্লাবে উৎসবের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকদের পাশাপাশি ছিলেন উৎসবের জুরিরাও।
আয়োজক দেশ বাংলাদেশ এবং অন্য সব দেশের ছবির তুলনায় এবারের উৎসবে সবচেয়ে বেশি প্রদর্শিত হবে ভারতীয় চলচ্চিত্র। ভারতের মোট ৩১ চলচ্চিত্রের পরই যৌথভাবে ২৯টি করে ছবি নিয়ে প্রতিনিধিত্ব করছে ইরান ও স্বাগতিক বাংলাদেশ। অন্যান্য দেশের মধ্যে তুরস্কের ১৪, সার্বিয়ার ৬, মঙ্গোলিয়ার ৭, চীনের ৫ ও যুক্তরাষ্ট্রের ৪টি চলচ্চিত্র দেখানো হবে। তবে চলচ্চিত্রগুলোর সেন্সর প্রক্রিয়ার সমালোচনা করলেন আমন্ত্রিত চলচ্চিত্রকাররা।
ইরানের চলচ্চিত্রকার জোহরা জামানী বলেন, আশা করি পরের বছর কম সেন্সর করা হবে। এটা ইরানেও সমস্যা। একজন নির্মাতা হিসেবে আমি মনে করি কোন উৎসবে সেন্সর উঠিয়ে দেয়া উচিত।
তুরস্কের চলচ্চিত্রকার ইয়েশিম গুজেলপিনার বলেন, মূল আয়োজনে এতো ভালো সিনেমা এসেছে, জুড়িদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে সেরা নির্বাচন করা। আমি ছয়টি ফিচার ফিল্ম কিউরেট করছির, সবই স্বাধীন চলচ্চিত্র, আশা করি তুরস্কের ছবি নতুন করে চিনবে এখানকার দর্শক।
একযোগে পাঁচটি ভেন্যুতে সকাল দশটা থেকেই চলচ্চিত্র প্রদর্শন শুরু হলেও উদ্বোধনী আয়োজন হবে জাতীয় জাদুঘরে বিকেল সাড়ে তিনটায়। মাত্র পঞ্চাশ টাকার টিকিট কেটে যে কেউ দেখতে পারবেন যে কোন চলচ্চিত্র। পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে শিক্ষার্থীরা চলচ্চিত্র দেখতে পারবেন বিনামূল্যে। উৎসবের উদ্বোধনী চলচ্চিত্র, তুরস্কের দ্যা গেস্ট।