দৈনিকসিলেটডেস্ক:কিশোর বয়সে ঘুমন্ত গৃহকর্মীকে স্পর্শ করেছিলেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে। এ স্বীকারোক্তির পর দেশটির বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা ও যৌন হয়রানিতে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগ করেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, নারীদের নিয়ে কটাক্ষ্য, ধর্ষণ ও পরকীয়া নিয়ে ব্যভিচার মন্তব্যের কারণে ব্যভিচার প্রায়ই সমালোচিত দুতার্তে। গতকাল রোববার রাতে সর্বশেষ বিতর্কিত এই স্বীকারোক্তি দেন তিনি। দুতার্তে বলেছেন, হাই স্কুলে পড়াকালীন তার সঙ্গে এক ধর্ম যাজকের পরিচয় হয়েছিল। ওই যাজকের গৃহকর্মী ঘুমন্ত অবস্থায় থাকাকালীন তিনি কীভাবে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করতেন সে বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। বক্তৃতায় ৭৩ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্ট বলেন, 'আমি কম্বল উঠিয়েছিলাম এবং তার অন্তর্বাসের ভেতরে কী আছে সেটি স্পর্শ করার চেষ্টা করেছিলাম। আমি তাকে স্পর্শ করেছিলাম। সে জেগে উঠেছিল। তার পর আমি কক্ষ ত্যাগ করেছি। পরে আবারও ওই কক্ষে ফিরে গৃহকর্মীকে নিপীড়নের চেষ্টা করেছিলাম।' দুতার্তের সর্বশেষ মন্তব্য দেশীয় শ্রমিকদের বিপন্ন করেছে বলে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন নারী সমর্থকরা। প্রেসিডেন্টের এমন ন্যক্কারজনক স্বীকারোক্তির নিন্দা জানিয়ে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন দেশটির নারী মানবাধিকার কর্মী গ্যাব্রিয়েলা। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট দুতার্তে ধর্ষণের চেষ্টার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এর আগে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় দুতার্তে বলেছিলেন, তিনি একজন 'সুন্দরী' অস্ট্রেলিয়ান এক নারী ধর্মপ্রচারককে ধর্ষণ করতে চেয়েছিলেন, যিনি ফিলিপাইনের কারাগারে দাঙ্গায় নিহত হন।