দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১৭ সালে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৫৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ২০ ওভারের ক্রিকেটে এতদিন পর্যন্ত ওটাই ছিল তার সেরা বোলিং ফিগার। তবে গতকাল মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেকে ছাড়িয়ে গেলেন সাইফ। ৪ ওভার বল করে ৩৩ রান খরচায় তার শিকার ৪ উইকেট। মোহাম্মদ নবীর ৫৪ বলে ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে ২০ ওভারে ১৬৪/৬ সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সাইফুদ্দিনের তোপে পড়ে আফগানিস্তান। ইনিংসের প্রথম বলেই সাইফ সরাসরি ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজের অফস্টাম্প উপড়ে ফেলেন। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে অধিনায়ক সাকিব হযরতুল্লাহ জাজাইকে (১) সাজঘরে ফেরান। তৃতীয় ওভারে সাইফ তুলেন নাজিব তারাকাইকে। ১১ রান করে সাব্বিরের হাতে ধরা পড়েন তারাকাই। ষষ্ঠ ওভারে সাকিবের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন আগের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৯ রান করা নাজিবুল্লাহ জাদরান (৫)।৪০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে আফগানরা। তবে মোহাম্মদ নবী ও আসগর আফগানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। ষষ্ঠ উইকেটে ৭৯ রান যোগ করেন আগসর-নবী। ইনিংসের ১৭তম ওভারে আসগরকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন সাইফুদ্দিন। ৩৭ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪০ রান করেন সাব্বির রহমানের হাতে ধরা পড়েন সাবেক অধিনায়ক আসগর। ওই ওভারেরই পঞ্চম বলে গুলবাদিন নায়েবের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন সাইফ। নিজের চতুর্থ ওভারটা অবশ্য ভালো করতে পারেননি তিনি। ওই ওভারে দুই ছক্কায় ১৭ রান দেন সাইফ।আগের ম্যাচে ৪ ওভারে ৫৯ রান দেয়া সাকিব গতকাল দিয়েছেন মাত্র ১৮ রান। সোম্য সরকার ছিলেন বেশ খরুচে। ২ ওভারেই খরচ করেন ৩১ রান। ৪ ওভারে ২৫ রানে উইকেটশূন্য মোস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের শেষ ওভারে বল করতে এসে মাত্র ৩ রান দেন মোস্তাফিজ। উইকেটও পেতেন, যদি করিম জানাতের ক্যাচটি নিজেই মিস না করতেন।