বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের আদমদীঘি উপজেলা এলাকায় অবস্থিত অধিকাংশ যাত্রী ছাউনি সংস্কার না করা, অরক্ষিত ও বেদখল হওয়াই যাত্রীসাধারণ ছাউনিতে ঠাঁই পাচ্ছে না। যাত্রীদের ছাউনিতে ঠাঁই না মেলায় সড়কের পার্শ্বে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদে পুড়ে কিংবা বৃষ্টিতে ভিজে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এদিকে কর্তৃপক্ষের কোনো নজরদারি না থাকায় একদিকে যেমন বেদখল হচ্ছে, অন্যদিকে যাত্রী ছাউনির সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন যাত্রী সাধারণ। জানা যায়, বগুড়া-নওগাঁ সহাসড়কের আদমদীঘি বাসস্ট্যান্ড, উপজেলা পরিষদের সামনে, মুরইল বাস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাত্রী সাধারণের বাসের জন্য অপেক্ষা করতে বসার আসনসহ যাত্রী সেবার লক্ষ্যে প্রায় ৩০ বছর আগে বগুড়া জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে এসসব যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হয়। সে সময় বাস যাত্রী নারী-পুরুষ নির্মিত যাত্রী ছাউনিগুলোতে বাসের জন্য অপেক্ষা করতেন। যাত্রীরা রোদ বৃষ্টি থেকে রক্ষার অনেক সুবিধা এবং বয়স্ক নারী পুরুষ ও শিশুদের জন্য আরাম আয়েশ করে আসনগুলোতে বসার সুযোগ পেতেন। প্রায় ১২ বছর ধরে এই এলাকার অধিকাংশ যাত্রী ছাউনিগুলো আর যাত্রী সাধারণের সুবিধার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে না। সেখানে আর যাত্রীরা পায়না বসা কিংবা দাঁড়িয়ে থাকার ঠাঁই। অধিকাংশ যাত্রী ছাউনির ছাদ ও পলেস্তারা চটে অরক্ষিত থাকায় এবং দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ভেঙে পড়তে শুরু করেছে। আর এ সুযোগে এই সব যাত্রী ছাউনি এক শ্রেণির লোক জবর দখল করে তাদের বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা দেদার চালাচ্ছেন। যাত্রীরা এলেও তাদের বসা কিংবা দাঁড়ানোর মিলছে না ঠাঁই। ফলে বাস যাত্রীরা এখন আর কোনো সেবাই পাচ্ছে না মহাসড়কের যাত্রী ছাউনি থেকে। সরজমিন তদন্ত করে অবিলম্বে যাত্রী ছাউনিগুলো দখলমুক্ত করে সংস্কার করার জন্য ভুক্তভোগী মহল প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।