সরকারি দুই রকেট বিকল, চাঁদপুর ঘাটে যাত্রীদের দুর্ভোগ

মানবজমিন প্রকাশিত: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৩:২১

ইঞ্জিনের সঙ্গে সংযুক্ত রাবার ডিস্ক লারনার ও পাখার পাতা বিকল হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) পিএস মাহ্সুদ ও পিএস টার্ণ নামে দু’টি রকেট চাঁদপুর ঘাটে পড়ে আছে। এর মধ্যে পিএস টার্ণ শনিবার রাত ১১টা থেকে এবং পিএস মাহ্সুদ গত ২৪ দিন ধরে বিকল।আজ রোববার দুপুর ১টায় চাঁদপুর শহরের রকেট স্টিমার ঘাটে দেখা গেছে, পিএস মাহ্সুদ জেটির সঙ্গে বাঁধা এবং তার পাশেই ডাকাতিয়া নদীর মাঝ বরাবর বাঁধা রয়েছে পিএস টার্ণ। এ কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন নৌপথের যাত্রীরা।স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ঢাকা সদরঘাট থেকে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় পিএস টার্ণে বাঘেরহাট যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন মো. শাহজাহান। তিনি বলেন, রকেটটি চাঁদপুর ঘাটে যাত্রী নামিয়ে পুনরায় ছাড়ার জন্য প্রস্তুতি নিলে বিকল হয়ে পড়ে।বরিশালের আরেক যাত্রী শামছুল হক বলেন, তিনি স্ত্রীকে নিয়ে রকেটে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে ওঠেছেন। রকেট বিকল হওয়ার পর খুবই সমস্যার মধ্যে আছি। এখন পর্যন্ত গন্তব্যে যাওয়ার জন্য কোন রকেট কিংবা লঞ্চ পাইনি। রাতে লঞ্চ পাওয়া গেলে হয়তো যাওয়া যাবে।রকেট ঘাটের জ¦ালানি ব্যবসায়ী হাজী বিল্লাল মিয়াজী বলেন, প্রায় ১ মাস ধরে বিকল হয়ে ঘাটে পড়ে আছে পিএস মাহ্সুদ। এরপর পিএস টার্ণ গতকাল রাতে বিকল হওয়ার পর থেকে কিছু যাত্রী নেমে অন্য রুটে গেলেও অনেক যাত্রী দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)-এর চাঁদপুর রকেট ঘাটের সহকারি ম্যানেজার মো. মনির হোসেন বলেন, গত ২৪ দিন পূর্বে পিএস মাহ্সুদ ইঞ্জিনের সঙ্গে পাখার সংযোগ দেয়া রাবার ডিস্ক লারনার নষ্ট হয়ে যায়। পরে এটি মেরামতের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এটি মেরামত খুবই সুক্ষ্ম কাজ। তাই আরও ৮-১০ দিন সময় লাগবে। তিনি আরও বলেন, পিএস টার্ণ শনিবার রাতে চাঁদপুরঘাটে যাত্রী নামিয়ে পুনরায় ছাড়ার সময় পাখার ৪টি পাতা বাঁকা হয়ে যাওয়ার কারণে ইঞ্জিনে বিকট শব্দ হতে থাকে। বাঁকা পাতা যেদিকে ঘুরার কথা সেদিকে না ঘুরে উল্টো ঘুরার কারণে ইঞ্জিন চালানো সম্ভব হয়নি। এই বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us