মায়ের দেয়া একটি গাভী পালন করে এখন ২১টি উন্নতজাতের গরুর মালিক হয়ে উপজেলায় সফল খামারি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন হান্নানুর নামের এক যুবক। এ আত্মকর্মসংস্থান খুঁজে পাওয়া যুবকের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার রামখানা ইউনিয়নের আস্করনগর মণ্ডলেরকুটি গ্রামে। তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি নিজের মেধা আর শ্রমকে কাজে লাগিয়ে বসতবাড়িতে একটি উন্নতজাতের গরুর খামার গড়ে তুলেছেন। তার গরুর খামারে বর্তমান ব্রাহামা, শাহীওয়াল, ফিজিয়ান, জারসি ও দেশি গরু রয়েছে। আত্মকর্ম প্রত্যাশী যুবক হান্নানুর রহমানের গরুর খামার পরিদর্শনে গেলে তিনি জানান, তার মায়ের দেয়া একটি গাভী পালন করে ২১টি গরুর মালিক হয়েছেন। তিনি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত গরুর খামার পরিচালনা করে আসছেন। তার খামারে উন্নতজাতের দুগ্ধগাভী, আড়িয়া ও বকনাসহ সব ধরনের গরু রয়েছে। শখের বশে তার গরুর খামারে লাখ লাখ টাকা আয় করে তিনি অনেক স্বাবলম্বী হয়ে সংসার জীবনে পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছেন। তিনি জানান, গত কয়েকদিন আগে তার খামারের ব্রাহমা জাতের ১৩ মাস বয়সের ১টি আড়িয়া গরু ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। তিনি আরো জানান গরুর খাবারের জন্য ৩ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। পাশাপাশি ২ বিঘা জমিতে নেপিয়ার পাংচক জাতের ঘাস লাগিয়েছেন। তার খামারের গরুর চিকিৎসাসেবার জন্য তিনি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে নিয়মিত যোগাযোগ করে থাকেন। খামারের মালিক হান্নানুর রহমান বলেন- ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। মেধা আর শ্রমকে কাজে লাগিয়ে আত্মকর্মসংস্থানে স্বাবলম্বী হওয়া যায়। তিনি বলেন, এত বড় খামার করতে গিয়ে আমি অর্থনৈতিকভাবে কারও সহযোগিতা পাইনি। আগামীতে সরকার কিংবা কোনো বেসরকারি পৃষ্ঠপোশকতা পেলে গরুর খামারটি অনেক বড় করে জেলায় শ্রেষ্ঠ খামারের মালিক হওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি। তার আদর্শ ও পরিচ্ছন্ন এ গরুর খামারটি দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা প্রতিদিন আসেন। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কেএম ইফতেখারুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, হান্নানুর রহমানের গরুর খামারটি খুবই আদর্শ এবং তার খামারে সকল উন্নত জাতের গরু রয়েছে। আগামীতে উপজেলায় শ্রেষ্ঠ খামারি হিসেবে পরিচিত হবেন বলে তিনি জানান।