ব্রহ্মপুত্র নদে দুটি পাথরবোঝাই জাহাজ ১২ দিন ধরে আটকে আছে। ভারতের আসাম থেকে ছেড়ে আসা জাহাজ দুটিতে ৫০০ টন পাথর আছে বলে জাহাজের ক্রুরা জানিয়েছেন। কেন জাহাজ দুটো আটকে রাখা হয়েছে তা অজানা। আবার কারা আটকে রেখেছেন তা-ও অজানা। কুড়িগ্রামের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুল হক তো ফোনে সাংবাদিকদের উপর মারাত্মক ক্ষেপে আছেন। ফোন দিলেই রেগে মেগে ফোন কেটে দিচ্ছেন তিনি। তবে কাস্টমস্ের রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তা আকতার হোসাইন জাহাজ দুটোকে আটকে রাখা হয়েছে তা মানতে নারাজ। তার ভাষায়, সে দুটোকে সাময়িকভাবে ‘চলৎশক্তিহীন’ করে রাখা হয়েছে। এদিকে পাথর ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন খান জানান, গত ২৫ তারিখ থেকে জাহাজ দুটি আটক রেখে নানা টালবাহানা করছেন কাস্টমস্ কর্মকর্তারা। সম্ভাবনার একটি নতুন দিগন্তকে গলাটিপে হত্যা করতে চাইছেন তারা। তিনি বলেন, ৭১’র পর আসাম থেকে জলপথে পাথর আমদানি এই প্রথম। এর আগে ১৮ই জুলাই বসুন্ধরা গ্রুপ ভুটান থেকে এ পথেই পাথর আমদানি করেছেন। এটাকে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত বলে অভিহিত করেন ভারত, ভুটান ও বাংলাদেশের হাইকমিশনারগণ। কিন্তু অজানা কারণে কাস্টমস্ গত ১২ দিন ধরে পাথর বোঝাই (ডব্লিউ বি ঈগল-১ ও ডব্লিউ বি বদিউজ্জামান-২) জাহাজ দুটোকে আটকে রেখেছেন। আটক থাকার কারণে আমাদের প্রতিদিন খরচ হচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। রাজস্ব ও আমদানির সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরও কোনো কারণে জাহাজ দুটোকে আটকে রাখা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে রংপুর কাস্টমস্ এর (সেক্রেটারি ২য়) কর্মকর্তা আকতার হোসাইন জানান, ব্রহ্মপুত্র দিয়ে নৌরুটে আমদানির বিষয়ে উভয় দেশের চুক্তি হলেও বাস্তবিক পক্ষে আমরা এখনও স্বয়ংসম্পূর্ণ নই। এটি তদারকি করতে চিলমারী পয়েন্টে আমাদের লোকবল এখনও নিয়োগ দেয়া হয়নি।