‘নাটক নির্মাণের ক্ষেত্রে অনেক বিষয়েই নিয়ম-নীতি মানা হচ্ছে না’
প্রকাশিত: ০৭ জুলাই ২০১৯, ০০:০০
দুই পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন। সদ্য সমাপ্ত অভিনয় শিল্পী সংঘের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। আগের কমিটিতেও নির্বাচিত ছিলেন এই অভিনেতা। এরইমধ্যে ‘অভিনয় শিল্পী সংঘ’র নতুন কমিটি দায়িত্ব বুঝে নিয়েছে। এ কমিটির আপনিও একজন। এবার শিল্পীদের জন্য কিভাবে কাজ করতে চান? এই প্রশ্নের উত্তরে মিলন বলেন, আগের মেয়াদে কাঠামোগতভাবে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার কাজ করেছি। এ মেয়াদে সেগুলোর বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবো। আসলে নাটকের অভিনয় শিল্পীদের কাজের জায়গায় কিছু সমস্যা অনেক দিন ধরেই বিরাজ করছে। সিডিউল টাইম থেকে শুরু করে নাটক নির্মাণের ক্ষেত্রে অনেক বিষয়েই নিয়ম-নীতি মানা হচ্ছে না। সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগে সমাধান করার ইচ্ছে আছে। সরকারের কাছ থেকে আমাদের পাওয়ার অনেক কিছু আছে। ছোটপর্দার শিল্পীদের কোনো স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। অর্থাৎ চলচ্চিত্রের মতো নাটকে জাতীয় পুরস্কারের ব্যাপার নেই। এ বিষয়টি নিয়ে সরকারের যথাযথ মহলের সঙ্গে আমরা বসতে চাই। এদিকে ঈদের ছুটির পর চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে এই অভিনেতা শুটিংয়ে ফিরেছেন বলে জানান। বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে? মিলন বলেন, রাজু খানের ‘মধ্যবর্তিনী-২’, ফরিদুল হাসানের ‘লাকী থার্টিন’, সঞ্জিত সরকারের ‘চিটিং মাস্টার’ এবং আল হাজেনের ‘হুলস্থুল’ নাটকগুলো নিয়ে ব্যস্ত আছি। এছাড়া কোরবানি ঈদের কয়েকটি নাটকে অভিনয়ের কথা রয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে সেগুলোর কাজ শুরু হবে। অভিনয়ের বাইরে মিলন পরিচালক হিসেবেও নাম লিখিয়েছেন। গেল ঈদে তিনি ‘আব্বা উকিল ডাকবো?’ শিরোনামে একটি নাটক নির্মাণ করেন। নাটকটির জন্য কেমন সাড়া পেলেন? এ প্রশ্নের উত্তরে মিলন বলেন, নাটকটির জন্য দর্শক ও পরিচিত অনেকের কাছে প্রশংসা পেয়েছি। অনেকেই উৎসাহ দিচ্ছেন, আমি যেন নিয়মিত পরিচালনা করি। তবে আমার পক্ষে নিয়মিত এই কাজটি করা সম্ভব না। অভিনয়ে আমাকে বেশ ব্যস্ত থাকতে হয়। তবে ভালো প্রজেক্ট পেলে তা করবো। এরমধ্যে নতুন একটি প্রজেক্ট নিয়ে পরিকল্পনা করছি। কিছু দিনের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিব। এই সময়ে টিভি নাটকের উন্নতির জন্য কি করণীয় বলে মনে করেন? মিলন বলেন, প্রথমেই যথার্থ বাজেটের ব্যাপারে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। একটি ভালো কাজের জন্য ভালো বাজেট প্রয়োজন। একইসঙ্গে নির্মাতাদের ভিন্ন ভিন্ন আইডিয়া নিয়ে কাজ করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। এখন সবাই কেমন যেন প্রেম-ভালোবাসার মধ্যেই পড়ে আছে। আমাদের নির্মাতাদের অনেকেই এখন বেশ ট্যালেন্ট। তারা ইচ্ছে করলে নাটকে পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। টিভি নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও এই অভিনেতা নিজের জায়গা শক্ত করেছেন। আগামী ২০শে জুলাই থেকে ‘গাঙচিল’ শিরোনামের নতুন একটি চলচ্চিত্রের শুটিং শুরু করবেন বলে জানান তিনি। নতুন এই চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে মিলন বলেন, আমাদের মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের একটি উপন্যাস অবলম্বনে এই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ হচ্ছে। এটি নির্মাণ করছেন নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল। আশা করছি ভালো কিছু হবে। এদিকে ‘ইন্দুবালা’ ও ‘সাদা কালো প্রেম’ শিরোনামের আরও দুটি ছবির শুটিং শেষ করেছেন মিলন। তবে এ অভিনেতা চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র নির্মাণের সংখ্যা কমে গেছে। এটা একজন শিল্পী হিসেবে আমাকে কষ্ট দেয়। আবার কিছু চলচ্চিত্র মহরতের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। চলচ্চিত্র শিল্পকে বাঁচাতে হলে ভালো ছবি নির্মাণের সংখ্যা বাড়াতে হবে। সিনেমা হলগুলোর সংস্কার করতে হবে।