২০১৬ সালে বড়লেখার তালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অত্যন্ত কৌশলে কারসাজির মাধ্যমে ফল পাল্টে ফেলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। নিশ্চিত বিজয়ী হয়েও হেরে যান মৌলভীবাজারের বড়লেখার তালিমপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা মো. মানিক আহমদ। আর তার স্থলে ইউপি সদস্য হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় আব্দুল মুতলিবকে। কিন্তু আদালতের রায়ের মাধ্যমে ৩ বছর ১ মাস পর ইউপি সদস্যের পদ ফিরিয়ে দেয়া হয় মো. মানিক আহমদকে। গত বৃহস্পতিবার তাকে শপথ পাঠ করানো হয়। সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের দিন তালিমপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের উপস্থিত ফলাফল কৌশলে পাল্টে দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ফলাফল পাল্টে আব্দুল মুতলিব নামে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন থেকে আব্দুল মুতলিবের নামে গেজেট প্রকাশ হয়। এরপর শপথ নিয়ে তিনি এতদিন দায়িত্ব পালন করছিলেন। অন্যদিকে এই ফলাফলের বিরুদ্ধে মানিক আহমদ মৌলভীবাজারের জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের উপস্থিতিতে পুনরায় ভোট গণনা করা হয়। গণনায় পূর্বের বিজয়ী প্রার্থী আব্দুল মুতলিবের থেকে মানিক আহমদের ভোট বেশি পাওয়া যায়। গণনার ফলাফল অনুযায়ী ২০১৮ সালের ২৫শে জানুয়ারি পূর্বের ফলাফল অবৈধ ঘোষণা করে অভিযোগকারী মানিক আহমদকে বৈধ ও আইনানুগভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করে আদালত রায় দেন। আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন প্রথম নির্বাচিত আব্দুল মুতলিব। আপিল মামলায়ও ভোট গণনা করে মানিক আহমদের ভোট বেশি হওয়ায় মানিক আহমদকে বৈধ ও আইনানুগভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করে আগের দেয়া রায় বহাল রাখেন আদালত। আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে তালিমপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হিসেবে মানিক আহমদকে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ২২শে মে নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। মানিক আহমদ এর আগে দু’বার ইউপি সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন। মানিক আহমদকে শপথ পাঠ করানোর বিষয় নিশ্চিত করে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের চিঠি পেয়েই শপথ পাঠ করানো হয়েছে।’