বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহিম। ধানমন্ডির অ্যাডোনিস জেন্টস পার্লারে এসেছিলেন চুল কাটাতে। ঈদকে সামনে রেখে নতুন হেয়ার কাট দেবেন। তার মুখ থেকেই শোনা গেল ‘ভলিউম কাট’-এর কথা। ফাহিম অন্তর্জালে আগে থেকেই তথ্য পেয়েছেন ঈদে কোন সেলুন কী কাট নিয়ে এসেছে। সেই সূত্রে খবর পেয়েই ছুটে এসেছেন অ্যাডোনিসে ভলিউম কাট দিতে। ফাহিমের মতো অনেক তরুণই এবার ঈদে বেছে নিয়েছেন চুলের এই নতুন স্টাইল। ভলিউম কাট দেয়ার পর আশরাফ নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, এটা বিশেষ একটা স্টাইল। আসলে ঈদের জন্য আমরা কমবেশি অনেকেই ভিন্নতা খোঁজার চেষ্টা করি। বিশেষ করে হেয়ার কাটের ক্ষেত্রে। এজন্য খুঁজছিলাম ভালো কোনো কাটিং। ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি ভলিউম হেয়ার স্ট্রেইটের কথা। যা অ্যাডোনিসে এলে দেয়া সম্ভব। তাই চলে এলাম। আমার আগের স্টাইলের চেয়ে এই হেয়ার স্টাইলটা বেশ ভালো লাগছে। চুলের একটা নতুন কাট দেয়া মানে চেহারায় নতুন একটা লুক নিয়ে আসা। চুল কাটা শেষে ফাহিম বলেন, আমার মনে হয় ফ্যাশন ট্রেন্ড যা-ই হোক, সেটা ক্যারি করার একটা ব্যাপার থাকে। নিজের স্টাইলে স্বাতন্ত্র থাকলে তবেই চলমান ফ্যাশন স্টাইল পূর্ণতা পায়। অনেক দিন ধরে ফায়ার কাট দিয়ে আসছিলাম। এবার ভলিউম কাট দিলাম। আয়নায় নিজেকে নতুন নতুন লাগছে। এ বিষয়ে অ্যাডোনিসের হেয়ার এক্সপার্ট জয়নাল আবেদীন জানান, ঈদের জন্য সবাই চুলের যত্নে আলাদাভাবে ভাবনায় রাখেন। বিশেষ করে তরুণদের ক্ষেত্রে এটা বেশি লক্ষ্য করা যায়। মূলত তাদের কথা মাথায় রেখে আমাদের অন্যান্য কাটের পাশাপাশি ভলিউম হেয়ার স্ট্রেইটের ওপর বেশি জোর দিচ্ছি।
সময়ের সঙ্গে চুলের কাটে ভিন্নতা এনে নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করেন অনেকেই। তবে চুলের স্টাইল অনেকটা নির্ভর করে নিজের মুখের গড়নের ওপর। সব ধরনের চুলের স্টাইল যে সবাইকে মানাবে, এমনটা ভাবা ঠিক নয়। তাই নিজের মুখমণ্ডল, শরীরের গড়ন ও পেশা এগুলোর ওপর নির্ভর করেই চুলের স্টাইল করা উচিত- এমনটাই মনে করেন হেয়ার এক্সপার্ট ও অ্যাডোনিস জেন্টস পার্লারের কর্ণধার মোহাম্মদ হোসেন। তিনি বলেন, চুলের স্টাইলে ভিন্নতা আনার ব্যাপারে বেশির ভাগ তরুণই সচেতন। আর বিশেষ কোনো দিন যেমন ঈদ এলে এই সচেতনতা যেন আরো বেশি লক্ষণীয়। তাদের কথা মাথায় রেখে এবার আমাদের নতুন সংযোজন ভলিউম হেয়ার স্ট্রেইট। চুলের দুপাশ থেকে ছোট করে বিশেষ এক কাট দেয়া হয়। যা যে কারো লুকে নিয়ে আসতে পারে ভিন্নতা। ভলিউম হেয়ার স্ট্রেইট দিতে কেমন খরচ তা জানতে চাইলে মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ঈদের জন্য বিশেষ এই কাটিংয়ের জন্য খরচ পড়বে ১৫শ’ থেকে ২ হাজার টাকা। তবে আমরা ঈদ উপলক্ষে ২০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছি। প্রথম রমজান থেকে ২০ রোজা পর্যন্ত এই ছাড়ের অফার চলবে।