ছেলে হত্যার বিচার চান স্বামীহারা খুর্শেদা

মানবজমিন প্রকাশিত: ১৭ মে ২০১৯, ০০:০০

শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশনের পশ্চিমপাশে আউটার সিগন্যাল এলাকায় গত ১৫ মার্চ রেললাইনের নিচে লাশ পাওয়া গিয়েছিল ২২ বছর বয়সী টমটম চালক আলী আশরাফের। তার বাড়ি উপজেলার ২নং ভুনবীর ইউনিয়নের বিশ্বরোড শাসন গ্রামে। সে চা দোকানি রমজান আলীর দ্বিতীয় ছেলে। ছেলে আশরাফ মারা যাওয়াার ২৯ দিন আগে তার বাবাকে হারান। নিহত আশরাফের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দীর্ঘ দুই মাস পর গত দুদিন আগে আসে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে জিআরপি থানায়।রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ‘হেমুরাইজড এন্ট্রি মডেম ইন নেচার।’ এ রিপোর্ট  আদালতে গত মঙ্গলবার থানা থেকে পাঠানো হয়েছে। এর উপর আদালতে শুনানি আগামী ২০শে মে। এখন আদালত সিদ্ধান্ত নিবেন তাকে হত্যা করা হয়েছে কিনা। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন বলে জানালেন শ্রীমঙ্গল জিআরপি থানার ওসি ইসমাইল হোসেন সিরাজী। ওসি জানান, এ ঘটনায় আগে ইউডি মামলা জিআরপি থানায় রজু করা হয়েছিল। এরপর নিহতের বড়ভাই দিনমজুর আলী আকবর বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২নং আমল আদালতে নিহতের স্ত্রী, শ্বশুর, চাচা শ্বশুর, ফুফু শাশুড়ি, আশরাফের স্ত্রীর দুই ভাইসহ ১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। নিহত আলী আশরাফের বড় ভাই আলী আকবর মামলায় উল্লেখ করেন ‘১৫ই মার্চ রাত ৮টার পর পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করে তার লাশ রেললাইন ও এর আশপাশে ফেলে রাখে। যাতে মানুষ মনে করে আশরাফ রেলে কাটা পড়ে মারা গিয়ে লাশ টুকরো টুকরো হয়েছে’। এদিকে নিহতের মা স্বামী হারা খুর্শেদা বেগম কলিজার ধন ছেলে আশরাফকে হারিয়ে পাগলিনী অবস্থায় দিন চরম অনিদ্রায় কাটাচ্ছেন। ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে কোর্ট ও থানার বারান্দায় ঘুরপাক খাচ্ছেন। বর্তমানে এই সংসারের হাল ধরেন সংসারের বড় ছেলে দিনমজুর আলী আকবর। মানুষের বাড়িতে কাজকর্ম করে তিনি সংসার ও মামলার খরচ অতিকষ্টে চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি কেঁদে কেঁদে বলেন, মা হয়ে ছেলের মরা মুখটাও আমি দেখতে পেলাম না। কোথায় দাফন কাফন করছে তাও আমি জানি না। আমি কিচ্ছু চাই না। আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us