আজ ভারতে চতুর্থ দফার নির্বাচনে ৯টি রাজ্যের ৭২টি আসনে ভোট নেয়া হচ্ছে। এ বছর এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনে মোট ৫৪৩টি আসনের মধ্যে প্রথম তিন দফায় ৩০৩টি আসনে ভোট নেয়া হয়ে গেছে। প্রথম দফায় ৯১টি আসনে, দ্বিতীয় দফায় ৯৭টি আসনে এবং তৃতীয় দফায় ১১৫টি আসনে ভোট নেয়া হয়েছে। ভারতে এবার ভোট নেয়া হচ্ছে ৭ দফায়। আজ ভোট নেয়া হচ্ছে মহারাষ্ট্রের ১৭টি আসনে, উত্তরপ্রদেশের ১৩টি আসনে, রাজস্থানের ১৩টি আসনে, পশ্চিমবঙ্গের ৮টি, মধ্যপ্রদেশের ৬টি, ওড়িশার ৬টি, বিহারের ৫টি, ঝাড়খণ্ডের ৩টি এবং জম্মুু ও কাশ্মীরের ১টি আসনে। জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ আসনে তিন দফায় ভোট নেয়া হচ্ছে। প্রথম দফায় ভোট নেয়া হয়েছে ২৩শে এপ্রিল। দ্বিতীয় দফায় আজ অনন্তনাগের কুলগাঁও জেলায় ভোট হচ্ছে। তৃতীয় দফায় ৬ই মে বাকি বুথে ভোট নেয়া হবে। ভারতের এই একটি মাত্র আসনে তিন দফায় ভোট নেয়া হচ্ছে। আজ লোকসভার নির্বাচনের সঙ্গে ওড়িশা বিধানসভার ৪২টি আসনে এবং মদ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়া বিধানসভা আসনে, উত্তরপ্রদেশের নিঘাসান বিধানসভা আসনে এবং পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা আসনেও উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিনের নির্বাচনে ৯৬৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হতে যাচ্ছে। আজ যাদের ভাগ্য নির্ধারণ হচ্ছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- বিজেপির গিরিরাজ সিং, বাবুল সুপ্রিয়, কংগ্রেসের মিলিন্দ মুরলি দেওরা, প্রিয়া দত্ত, সমাজবাদী পার্টির ডিম্পল যাদব, সিপিআইয়ের কানাইয়াকুমার ও তৃণমূল কংগ্রেসের মুনমুন সেন। দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে আজ পশ্চিমবঙ্গের যে ৮টি আসনে ভোট নেয়া হচ্ছে সেগুলি হলো- আসানসোল, বহরমপুর, বর্ধমান পূর্ব, বীরভূম, বোলপুর, বর্ধমান-দুর্গাপুর, কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট। পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় দফার ভোটে রায়গঞ্জ কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় হিংসার অভিযোগ উঠেছিল। বিরোধীরা এই কেন্দ্রের কয়েকশো বুথে পুনরায় ভোটের দাবি জানিয়েছিলেন। বিরোধীদের সেই দাবি মানা না হলেও, রায়গঞ্জের তিনটি বুথে পুনঃনির্বাচনে ভোট নেয়া হবে আজ। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশন ক্রমেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর করছেন। জানা গেছে, এদিনের নির্বাচনে ৯৭ শতাংশ বুথেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আসানসোলের মতো কেন্দ্রে তা ১০০ শতাংশও হতে পারে। চতুর্থ দফার পশ্চিমবঙ্গের ৮টি কেন্দ্রের ৯৮০৪টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের (পোলিং প্রেমিসেস) মধ্যে ৯৬৮৫টি কেন্দ্রেই (৯৮.৮ শতাংশ) কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। এর পাশাপাশি সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে মোট ৮৮টি ‘কুইক রেসপন্স টিম’ থাকছে। এই দফার ভোটে রাজ্যে মোট ৫৬১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যেসব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না সেখানে মাইক্রোঅবজার্ভার ও ওয়েবকাস্টিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।