অসীম ক্ষমতার মালিক হবেন মিশরের প্রেসিডেন্ট!

মানবজমিন প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যে গণতন্ত্রের ক্ষুধা নিয়ে ৩০ বছরের স্বৈরশাসককে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন মিশরীয়রা, তাদের সেই ক্ষুধা কি মিটেছে! হোসনি মুবারককে ক্ষমতাচ্যুত করার পর প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসেন মুসলিম ব্রাদারহুডের মোহাম্মদ মুরসি। কিন্তু তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে সিংহাসনে আরোহন করেন সেনাবাহিনীর প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। সেই যে তিনি এলেন, তারপর থেকে ক্ষমতায় আছেন। এখন নতুন করে সংবিধান সংশোধনের ওপর গণভোট চলছে। সেই সংশোধিত গণভোটে তাকে যে ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে তা অসীম। তিনি প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে সব শীর্ষ বিচারপতিতে নিয়োগ দিতে পারবেন। তার ক্ষমতা যাতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয় সেই বন্দোবস্তও রয়েছে তাতে। এই সংবিধানের ওপর শনিবার প্রথম দফা গণভোট হয়েছে। তিন দিনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এই ভোট। এতে সংবিধান সংশোধিত হলে তিনি হয়ে উঠবেন নতুন এক স্বৈরশাসক, এমনটা বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা আরো বলছেন, মিশরকে সামরিকীকরণ করা হচ্ছে। সংবিধান সংশোধিত হলে প্রেসিডেন্ট সিসির বর্তমান ক্ষমতার মেয়াদ বৃদ্ধি করে ৬ বছর করা হবে। একই সঙ্গে তিনি তৃতীয় দফায় নির্বাচন করতে পারবেন। বিরোধী দলীয় রাজনীতিক খালেদ দাউদ বলেছেন, এই সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে আমরা আসলে এক ব্যক্তির শাসনের দিকে যাচ্ছি। তিনি মনে করেন, এর মধ্য দিয়ে মিশর সেই এক ব্যক্তির শাসনের দিকে যাবে, যেমন শাসককে ২০১১ সালের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল জনগণ। নতুন সংবিধানে প্রেসিডেন্ট সিসি বিচার বিভাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ কড়াকড়ি করতে পারবেন। তিনি প্রসিকিউটর জেনারেল ও উচ্চ পর্যায়ের সব বিচারককে নিয়োগ করার ক্ষমতা ভোগ করবেন। খালেদ বলেন, ২০১১ সালে লাখ লাখ মিশরীয় যে আশা নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন তার সমাপ্তি ঘটছে এর মাধ্যমে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us