আইরিন সুলতানা শোবিজে প্রথমে র্যাম্প মডেল হিসেবে পরিচিতি পান। এরপর ঢালিউডে নিজের অবস্থান গড়ার জন্য নিয়মিত বিভিন্ন ছবিতে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে কাজ করে চলেছেন। এদিকে আইরিন সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার বালি থেকে তিনটি ওয়েব সিরিজের কাজ শেষ করে দেশে ফিরেছেন। শুরুতেই এসব কাজ নিয়ে কথা বলেন তিনি। আইরিন বলেন, তিনটি ভালো মানের ওয়েব সিরিজের কাজ করেছি। এরমধ্যে অনন্য মামুনের পরিচালনায় ‘পার্টনার’ ও ‘ধোঁকা’ নামে দুটি এবং সৈকত নাসিরের ‘ট্র্যাপড’ নামে একটি ওয়েব সিরিজের কাজ শেষ করেছি। এগুলোর শুটিং হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। এসব ওয়েব সিরিজের বাজেট ছিল ভালো। অ্যারেঞ্জমেন্ট সিনেমার চেয়ে কম ছিল না। এগুলোতে কি গানও থাকছে? আইরিন বলেন, হুম। প্রতিটাতে একটি করে গান রয়েছে। কাহিনীতেও রয়েছে চমক। একটি থেকে অন্যটির গল্প আলাদা। আমি কাজগুলো নিয়ে আশাবাদী। বর্তমানে সব শিল্পী, প্রযোজক ও নির্মাতার মুখে একটাই কথা। চলচ্চিত্রে দারুণ সংকট চলছে। যেসব ছবিতে আপনি অভিনয় করেছেন সেসবের প্রযোজকরা কি এখন সিনেমায় লগ্নি করছেন? জবাবে আইরিন বলেন, চলচ্চিত্রে লগ্নি করে একজন প্রযোজক টাকা ফেরত না পেলে দ্বিতীয়বার লগ্নি করবেন কেন? আমাদের এখানে এখন ছবি থেকে টাকা আসার সিস্টেমে অনেক জটিলতা কাজ করে। সেসব দেখে সিনেমায় লগ্নি করতে চান না অনেক প্রযোজক। এ কারণে ঢাকাই সিনেমার নিয়মিত প্রযোজকরা হারিয়ে যাচ্ছেন। লগ্নিকৃত টাকা ফেরত আনতে শুধু ছবি হিট করলেই হবে না, সিনেমা হল থেকে টাকা প্রযোজকের পকেটে ফেরত পাওয়ার পুরো সিস্টেমটা স্বচ্ছ থাকতে হবে। এসব তো গেল সমস্যার কথা। এখন সিনেমা হলে ছবি মুক্তি পেলে কি সব ছবি দর্শকরা দেখেন? জবাবে আইরিন বলেন, সিনেপ্লেক্সে গিয়ে ভালো মানের ছবি দর্শকরা ঠিকই দেখছে। নিয়মিতই অনেকে এখন সিনেমা দেখেন। আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় সিনেপ্লেক্স কিংবা উন্নত সিনেমা হল আরো প্রয়োজন। এদিকে বর্তমানে কোন কোন ছবি নিয়ে ব্যস্ততা চলছে জানতে চাইলে আইরিন বলেন, ‘আহারে জীবন’ নামে একটি ছবির বেশকিছু অংশের কাজ হয়েছে কুয়াকাটায়। অনন্য মামুনের টিম ছবিটি পরিচালনা করছেন। ছবিতে আমার চরিত্রের নাম ঝিনুক। জেলে পল্লীর একটি মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছি। পুরোই ভিন্নধারার একটি চরিত্র এটি। যেখানে শিল্পায়নের প্রভাব এখনো পড়েনি, এমন একটি এলাকার গল্প নিয়ে নির্মাণ হচ্ছে ছবিটি। এর বাইরে ‘পদ্মার প্রেম’ নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন আইরিন। হারুন-উজ-জামান পরিচালিত এই সিনেমার শুটিং মানিকগঞ্জে হয়েছে। এ ছবিতে দেখানো হবে ষাটের দশকের চিত্র। ছবির গল্প গড়ে উঠেছে পদ্মার পাড় ঘেঁষে গড়ে ওঠা একটি গ্রামের মানুষের জীবনের চালচিত্র নিয়ে। এ ছাড়া শফিকুল ইসলাম সোহেলের ‘ভোলা’, অরণ্য পলাশের ‘গন্তব্য’, বুলবুল জিলানীর ‘রৌদ্রছায়া’ ছবিগুলোর কাজ শেষ করেছেন আইরিন। এ ছবিগুলো সামনে মুক্তি পাবে। এগুলোর মধ্যে সঞ্জীবন সিকদারের পথনাটক ‘ও বললো’ থেকে ‘গন্তব্য’ ছবির চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে। জেলেপাড়ার পাশাপাশি শহরের একটি গল্পও যোগ করা হয়েছে এতে। ছবিতে আইরিন অভিনয় করেছেন নায়ক ফেরদৌসের বিপরীতে। আলাপনের সবশেষে আইরিন বলেন, ‘সেভ লাইফ’ নামের নতুন একটি ছবির প্রথম ভাগের কাজ শেষ করেছি। এতে কো-আর্টিস্ট হিসেবে রয়েছেন ফেরদৌস, আনিসুর রহমান মিলন ও পপি। সামনে এ ছবির দ্বিতীয় ভাগের কাজ শুরু হবে। পরিচালনা করছেন আমিরুল ইসলাম শোভা। সব মিলে সামনে আমার কয়েকটি ছবি মুক্তি পাবে।