বলা হয়ে থাকে, বিশ্বসাহিত্যের সবচেয়ে ছোট গল্পটি লিখেছিলেন মার্কিন কথাসাহিত্যিক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে। মাত্র ছয় শব্দের গল্পটি ছিল—‘ফর সেল: বেবি শুজ, নেভার ওর্ন’। বাংলা করলে শব্দসংখ্যা একটু বাড়ে। ‘বিক্রি হবে: শিশুদের জুতো, কখনো পরা হয়নি।’
এটি ন্যূনতমবাদ শৈলীর (মিনিমালিস্ট স্টাইল) যথার্থ উদাহরণ। এই শৈলীর প্রবক্তা বিখ্যাত জার্মান-মার্কিন স্থপতি লুডভিগ মিস ভান ডের রোহে। তিনি অবশ্য স্থাপত্যের প্রেক্ষাপটে তত্ত্বটি দিয়েছিলেন। তত্ত্বের মূলকথা, লেস ইজ মোর, অর্থাৎ কমই বেশি। সত্যিই তো। অল্পের ভেতরই লুকিয়ে থাকে বৃহৎ।
প্রযুক্তির দুরন্তগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে মানুষের ধৈর্যের আয়ু। মাইক্রোসফট করপোরেশনের একটি গবেষণা জানায়, একজন মানুষের গড় মনোযোগকাল ৮ সেকেন্ড। এই গবেষণা ২০১৫ সালের। বর্তমানে তাহলে কী অবস্থা, আন্দাজ করুন। ফলে দীর্ঘ লেখার গুরুত্ব স্বীকার করে নিয়েও এ কথা বোধ হয় নির্দ্বিধায় বলা যায় যে ছোটগল্পের আবেদন এখন বাড়বাড়ন্ত। মানুষ আজকাল অল্প কথায় সব গল্প লিখতে বা বলতে চান। হালে তাই ছোটগল্পের প্রাসঙ্গিকতা যেন ক্রমেই বাড়ছে। অল্প কিছু শব্দের শরীরেও যে লুকিয়ে থাকতে পারে গভীরতর অনুভব, ছোটগল্প পড়লে তা বোঝা যায়।