বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি দীর্ঘদিন ধরে সহিংসতা, বৈষম্য ও দায়মুক্তির মধ্যে আটকে আছে। যদিও ছাত্রজনগণের আন্দোলন একটা পরিবর্তনের আশা জাগিয়েছে তবুও দীর্ঘদিনের স্বৈরাচারী শাসনে গড়ে উঠা অজাচার শাসন ব্যবস্থা প্রায়ই হতাশার জন্ম দেয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই সমস্যা উত্তরণে কাজ করে যাচ্ছে। তবে আন্দোলনের ফলপ্রসূতা এবং টেকসই সংস্কার নিশ্চিত করতে প্রয়োজন বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা, আইন এবং সুশাসনের প্রতি জনগণের আস্থা পুনঃস্থাপন ।
বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি-
বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং চর্চা: বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি মূলত প্যাট্রিমোনিয়াল এবং ক্লায়েন্টেলিস্টিক চরিত্র ধারণ করে। ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতি, দলীয় আনুগত্য, এবং পারিবারিক প্রভাব রাজনৈতিক সংস্কৃতির একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। প্যাট্রিমোনিয়াল রাজনৈতিক চরিত্রে দেশের ক্ষমতা, সম্পদ এবং সুবিধা ব্যক্তিগত বা পরিবারিক সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে উঠে। এর মধ্যে শাসনব্যবস্থার নেতা তার ক্ষমতা বা সম্পদ তার পরিবারের সদস্যদের বা নির্দিষ্ট গ্রুপের মধ্যে বিতরণ করেন। এই ধরনের শাসনব্যবস্থায় সরকার বা প্রশাসন ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো পরিচালিত হয়। যেটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান।