জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার সুবাদে মাঝখানে কয়েকটি নির্বাচন মোটামুটি ত্রুটিমুক্ত হলেও ওই ব্যবস্থা বিলুপ্তির মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থাকে আরও খারাপ অবস্থায় রূপান্তর করা হয়েছে। আমাদের সংবিধানে নির্বাহী বিভাগকে আইন বিভাগ, বিচার বিভাগসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ওপর কর্তৃত্ব করার যে সীমাহীন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তাতে এরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলন ও সীমাহীন আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব হয়েছে। তবে আবারও আরেকটি ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটতে না দেওয়ার বিষয়ে এখনো খুব বেশি অগ্রগতি লক্ষ করা যায়নি। ফ্যাসিবাদের উৎসস্থল সংবিধান পুনর্লিখন বা সংস্কার না করা গেলে এবং নির্বাচন ব্যবস্থাসহ প্রস্তাবিত অন্যসব সংস্কার যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে না পারলে দেশ থেকে ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন সম্ভব হবে না এবং একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ উন্মুক্ত হবে না। তবে আশার কথা হচ্ছে, সংবিধানসহ বিভিন্ন সংস্কার বিষয়ে যেরূপ জনমত সৃষ্টি হয়েছে এবং যেরূপ কর্মপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, এটাকে ইতিবাচক হিসাবে দেখা যেতে পারে।