বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের নিউমোনিয়া ওয়ার্ডে বিছানায় শুয়ে আছে তিন বছর বয়সী আনিশা। নরসিংদীর বেলাবো উপজেলা থেকে এসেছে সে। নাকে অক্সিজেনের নল, হাতে লাগানো রয়েছে ক্যানুলা। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল তার।
পাশে বসে আনিশার যত্ন নিচ্ছিলেন মা শাহিনুর আক্তার। আনিশা ২৬ নভেম্বর থেকে এই ওয়ার্ডে ভর্তি বলে জানান তিনি। জাগো নিউজকে শাহিনুর আক্তার বলেন, ‘যখন এক বছর বয়স, সেসময় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয় আনিশা। এবার নিউমোনিয়া ও হাঁপানির সমস্যায় তিন দিন আইসিইউতে ছিল। অবস্থার উন্নতি হলে তাকে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। এখন শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু পুরোপুরি সুস্থ হয়নি।’
শাহিনুর আক্তার বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার মেয়ের শ্বাসকষ্ট ছিল। প্রতি বছর শীত মৌসুমে তার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এবার যখন অবস্থা গুরুতর হয়ে উঠলো, তখন আমরা তাকে শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিশু হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে শিশুদের নিয়ে অপেক্ষা করছেন অভিভাবকরা। হাসপাতালের নিউমোনিয়া ওয়ার্ডের সব শয্যাই রোগীতে পূর্ণ। অনেকে শয্যা না পেয়ে ভর্তি হতে পারেনি।
শিশু হাসপাতালের তথ্যে জানা যায়, নিউমোনিয়াসহ শীতকালীন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। ৬৮১ শয্যার হাসপাতালে নিউমোনিয়া রোগীদের জন্য আছে ১৯ শয্যা। সবগুলোতেই রোগী ভর্তি। এছাড়া বহির্বিভাগে সেবা নিয়েছে এক হাজার ২০০ শিশু। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪ হাজার ১১৮ জন। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৫১১ জন।