মনে পড়ছে ১৯৭১ সালের কথা। মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ডিসেম্বরের যুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পরাজয় অবশ্যম্ভাবী বুঝতে পেরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে বাসা কিংবা কর্মস্থল থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এই কাজটি করেছিল জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্যদের নিয়ে গঠিত ‘আলবদর বাহিনী’। চরম এই নৃশংসভাবে হত্যার বিষয়ে গত ৫৩ বছরেও জামায়াতে ইসলামী কিংবা ইসলামী ছাত্র সংঘের নব্য সংস্করণ ইসলামী ছাত্রশিবিরের জাতির কাছে ক্ষমা না চাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লেবাস ধারণ করে যে ১৫২ জন সমন্বয়ক অন্তর্বর্তী সরকারের দণ্ডমুণ্ডের কর্তার ভূমিকা পালন করে চলেছে, তাদের মধ্যে নাকি ১০৮ জন ইসলামী ছাত্রশিবিরের ক্যাডার। তারা বাংলাদেশের ইতিহাসকে তাদের পছন্দমতো সাজাবার উদ্দেশ্যে নাকি ‘রিসেট বাটন’ টিপে দিয়েছে। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের দিনগুলোর পরিকল্পিত বুদ্ধিজীবী হত্যার ব্যাপারে তাদের অবস্থান কী, সেটা জানার জন্যই কলামটি লিখছি।